ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার অন্যতম প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩৬ নম্বর পাথরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখনো জরাজীর্ণ টিনশেড ভবনেই চলছে পাঠদান। ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি দীর্ঘ ৮০ বছরেও আধুনিক ভবনের বরাদ্দ পায়নি।
মহেশপুরের পাথরা মৌজায় অবস্থিত বিদ্যালয়টির মোট জমির পরিমাণ ১.২৪ একর। স্থানীয় দানশীল ব্যক্তিবর্গ-রহিম বক্স মণ্ডল, ইউছুপ আলী মালিতা, আব্দুল ওহাব, ইদ্রিশ আলী বিশ্বাস, ওয়াজেদ আলী, কফিল উদ্দিন, মহর আলী, ওমর আলী, ফকির চাঁদ ও গফুর আলীর দানকৃত জমির ওপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।
বিদ্যালয়টিতে পাঁচটি শিক্ষক পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত চারজন শিক্ষক। ২০২৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আবদুর রাজ্জাক। অল্প বৃষ্টি হলেই শ্রেণিকক্ষে পানি ঢুকে যায়, আর টিনশেড ভবনের কারণে প্রচণ্ড গরমে পাঠদান ব্যাহত হয়। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১০৫ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। তবে ভবনের স্বল্পতা ও নাজুক অবকাঠামোর কারণে অনেক অভিভাবক পার্শ্ববর্তী কিন্ডারগার্টেনে বাধ্য হয়েই সন্তানদের ভর্তি করাচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এমদাদুল হক বলেন, ‘দীর্ঘদিনের পুরোনো এই ভবনের অবস্থা খুবই খারাপ। ভবনটি অতি দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজন।’
অভিভাবক আমিনুর রহমান বাবলু জানান, ‘বিদ্যালয়ে এখনো কোনো সীমানা প্রাচীর নেই। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এটি অত্যন্ত জরুরি।’
স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন ও অবকাঠামোর সংস্কার এখন সময়ের দাবি।’
এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পাথরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান হলেও এখনো নতুন ভবনের বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। ভবিষ্যতে এ বিদ্যালয়ের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’


