ঢাকা মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

কিশোরগঞ্জে আধিপত্যকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৫, ১১:০৮ পিএম
আহতদের একজন হাসপাতালে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া গ্রামের শেখবাড়ি ও মোল্লাবাড়ির মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানার ওসি আতাউর রহমান আকন্দ।

সংঘর্ষে আহত হয়েছেন: তামজিদ মোল্লা (১৬), রাজু মোল্লা (২২), বাবু মিয়া (২৫), বশির মিয়া (৫৫), ফয়সাল মোল্লা (৩৭), সাইফুল (২২), শফিকুল ইসলাম (১৬), হযরত আলী (৪০), আব্দুর রহমান (১৬), ফখর উদ্দিন (১৬) ও শোয়েব (৩৬)। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে আধিপত্য নিয়ে আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া গ্রামের মোল্লাবাড়ি ও শেখবাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। মোল্লাবাড়ির নেতৃত্ব দেন ইউপি সদস্য হারুন মিয়া ও মুর্শিদ মিয়া। অন্যদিকে, শেখবাড়ির নেতৃত্বে ছিলেন মাইন উদ্দিন মিয়া ও দিলু মিয়া।

এর আগে ৭ ডিসেম্বর আগানগর টুকচাঁনপুরে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের সহযোগিতা দেওয়া এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপি সমর্থকদের চলাফেরাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সেদিনের সংঘর্ষে মোল্লাবাড়ির নিজাম (৪২) ও তার ছেলে তামিম (২২) আহত হন।

এ ঘটনার জেরে ৮ ডিসেম্বর সকাল থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিকেলে উভয় পক্ষ দা, বল্লম, লাঠি ও ইট-পাটকেলসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

মোল্লাবাড়ির সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নের টুকচাঁনপুর গ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে গুরুতর আহতদের দেখতে গিয়েছিলাম। মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় চালকরা ছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থক। এ নিয়ে মোল্লাবাড়ির বিএনপি ও শেখবাড়ির বিএনপি নেতাদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা থেকে প্রথমে মারামারি, পরে সংঘর্ষ হয়। এতে আমাদের ১৫ জন আহত হয়েছে।’

শেখবাড়ির গোলাপ মিয়া বলেন, ‘মোল্লাবাড়ির বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে আঁতাত করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। আমরা বিষয়টি জানতে চাইলে বাগ্‌বিতণ্ডা হয় এবং পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে আমাদেরও ১৫ জন আহত হয়েছে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক উম্মে হাবীবা জুঁই বলেন, ‘বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১১ জন আহত চিকিৎসা নিতে আসে। তাদের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’

ওসি আতাউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘খবর পেয়ে দুইটি পুলিশ টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। উভয় পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’