বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০১:১৫ পিএম

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করলেন এসিল্যান্ড

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০১:১৫ পিএম

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নাগেশ্বরী উপজেলার চরাঞ্চলীয় মানুষকে ঝুঁকির মুখে ফেলে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার একটি দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসকরণ প্রকল্পে ব্যবহারের জন্য দুধকুমার নদ থেকে অবৈধভাবে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল।

মঙ্গলবার দুপুরে নাগেশ্বরী উপজেলার নুনখাওয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সারিসুরী এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে এ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের বটতলা বাজার–ওয়াপদা বাঁধ ও টেংগরমারী সীমান্ত–ভাটি দিকদারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৩১০ মিটার কাঁচা রাস্তা সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।

এই কাজের জন্য গত ১০ দিন ধরে নাগেশ্বরীর নুনখাওয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সারিসুরী এলাকায় দুধকুমার নদে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল, যা বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এবং সংশোধিত ২০২৩ সালের আইনের পরিপন্থী।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় ৯৯ লাখ ৪ হাজার ১৭১ টাকা ব্যয়ে আরডিআরএস দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসকরণ (ডিআরআর-আরআরএপি) প্রকল্পের আওতায় কাজটি বাস্তবায়ন করছে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি।

তবে প্রশ্ন উঠেছে- এক উপজেলার মানুষকে ঝুঁকিতে ফেলে অন্য উপজেলায় দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস প্রকল্পের কাজ কীভাবে সম্ভব?

এ বিষয়ে জমির মালিকরা গত ২৬ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত আবেদন করেন। পরে ২ ডিসেম্বর সহকারী কমিশনার (ভূমি) বদরুজ্জামান রিশাদ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হাকিম, আব্দুল হামিদ, আসাদুল, নুর জামাল ও আমিনুল ইসলাম জানান, দুধকুমার নদ সারা বছরই তীরভাঙন সৃষ্টি করে। প্রতি বছর অসংখ্য ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, বাগান ও স্থায়ী স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এবার বালু উত্তোলনের কারণে নদীর তীরভাঙন আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এতে তীরবর্তী তফসিলভুক্ত জমি ও সরকারি আবাসন প্রকল্প চরম ঝুঁকিতে পড়েছে। তারা বলেন, বালু উত্তোলন বন্ধ করায় তারা সন্তোষ প্রকাশ করছেন।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) বদরুজ্জামান রিশাদ জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর সরেজমিনে গিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে। এ সময় কোনো যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়নি; সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।

নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহনুর জামান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!