বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ১২:৫১ পিএম

১৭ ঘণ্টার ব্যবধানে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ১২:৫১ পিএম

মৃত্যুর দৃশ্য দেখে স্তব্ধ হয়ে গেছেন বিলকিসের স্বামী ছানোয়ার হোসেন। ছবি- সংগৃহীত

মৃত্যুর দৃশ্য দেখে স্তব্ধ হয়ে গেছেন বিলকিসের স্বামী ছানোয়ার হোসেন। ছবি- সংগৃহীত

জয়পুরহাট সদরের ভাদসা ইউনিয়নের বড়মাঝিপাড়া গ্রামে ১৭ ঘণ্টার ব্যবধানে এক পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের বাড়িতে নেমে এসেছে নিস্তব্ধতা। স্বজনদের চাপা কান্নায় ভারী হয়ে আছে পরিবেশ।

নিহতরা হলেন-বড়মাঝিপাড়া গ্রামের মৃত খাজামদ্দিনের স্ত্রী সালেহা বেগম (৬৫), তার মেয়ে বিলকিস বেগম (৩৮) ও সালেহা বেগমের নাতি তুহিন হোসাইন (২৫)। তুহিন জয়পুরহাট সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তুহিন দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিলকিসের বেগমের শাশুড়ি শেফালী বেগম ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। বিলকিস তাকে দেখাশোনা করতে গিয়ে নিজেও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। রোববার সকালে তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই দিন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ওই ওয়ার্ডে ভর্তি হন বিলকিসের মা সালেহা বেগম। আর আগে থেকেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সালেহা বেগমের নাতি তুহিন হোসাইন। রোববার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তুহিনের মৃত্যু হয়। সোমবার সকালে তাকে দাফন করা হয়। এরপর একই দিন দুপুরে হাসপাতালে মারা যান সালেহা বেগম। মায়ের মৃত্যুর আধাঘণ্টা পর বিলকিস বেগমেরও মৃত্যু হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল হোসেন বলেন, মাত্র ১৭ ঘণ্টার ব্যবধানে একই পরিবারের তিনজন মারা গেছেন। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহত বিলকিসের স্বামী ছানোয়ার হোসেন বলেন, আমার মা, স্ত্রী ও শাশুড়ি তিনজনই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। আমার মা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু আজ আমার শাশুড়ি ও স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩৫ মিনিটের ব্যবধানে মারা গেলেন। এর আগে, রোববার রাতে হাসপাতালে আমার স্ত্রীর বড় ভাইয়ের ছেলে তুহিন মারা গেছেন।

জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সরদার রাশেদ মোবারক বলেন, হাসপাতালে যে দুজন মারা গেছেন, তারা মা ও মেয়ে। তারা ডায়রিয়ায় নয়, শ্বাসকষ্টে মারা গেছেন। তারা ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন না।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!