কুষ্টিয়ার হরিশংকরপুর এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী ও দুই শিশুকন্যাকে কুপিয়ে ও আছাড় দিয়ে গুরুতর জখম করেন মামুন আলী (৩০) নামে এক যুবক। পরে নিজেই নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।
এ ঘটনায় সবশেষ মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী মেঘলা খাতুনের মৃত্যু হয়। দুই কন্যাশিশুসহ বাকিরা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তারা হলেন- হরিশংকরপুর এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে মামুন আলী, তার মেয়ে কুলসুম (৪) ও জান্নাত (১.৫)।
স্থানীয়রা জানান, মামুন পেশায় একজন রংমিস্ত্রি। কয়েকদিন আগে মেঘলা স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে যান। পরে আবার ফিরে আসেন। এই নিয়েই পরিবারে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মামুন ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী মেঘলাকে কুপিয়ে জখম করেন। এরপর ওই দুই শিশুকে কুপিয়ে ও আছাড় দিয়ে জখম করেন।
তারা আরও জানায়, নিজেও গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে মামুন। বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সবশেষ মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেঘলার মৃত্যু হয়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাজিব হাসান জানান, মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেঘলা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুই শিশুর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের গভীর আঘাত রয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি মোশাররফ হোসেন জানান, জানতে পেরেছি পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। মামুনের স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। দুই শিশুসন্তান চিকিৎসাধীন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।