ঢাকা শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর, ২০২৫

শহীদ আবরার ফাহাদ বাংলাদেশের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক: সাদিক কায়েম

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২৫, ০৪:২০ পিএম
ভিপি আবু সাদিক কায়েম। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার অসম চুক্তি ও পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলার অপরাধে শহীদ হওয়া আবরার ফাহাদ বাংলাদেশের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েম।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে শহীদ আবরারের কবর জিয়ারতের সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এ সময় রায়ডাঙ্গা গোরস্থানে পৌঁছে আবরারের কবর জিয়ারত করেন ভিপি সাদিক কায়েম ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।

এ সময় আবরারের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে নিজেই মোনাজাত পরিচালনা করেন তিনি।

জিয়ারতে উপস্থিত ছিলেন শহীদ আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ, ইসলামী ছাত্রশিবির ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং স্থানীয়রা। জিয়ারত শেষে আবরারের বাবার সঙ্গে মতবিনিময় করেন ভিপি সাদিক কায়েম। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, ‘শহীদ আবরার ফাহাদ বাংলাদেশের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। তিনি আমাদের প্রেরণার বাতিঘর। আধিপত্য ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণেই খুনি হাসিনা ও তার দোসররা নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নির্মমভাবে আবরার ভাইকে হত্যা করেছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘শহীদ আবরার ভাই আমাদের যে পথ দেখিয়ে গেছেন, সেই পথেই জুলাইয়ের বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। আবরার যে চেতনা ও আকাঙ্ক্ষা বুকে ধারণ করতেন, সেই আকাঙ্ক্ষা নিয়েই আমাদের শহীদ ও গাজিরা লড়েছেন।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডাকসুর এই ভিপি বলেন, ‘জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষাকে যেভাবে ধারণ করার কথা ছিল, তা সরকার করতে পারছে না। শহীদদের রক্তের মূল্য দিতে হলে সেই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হবে। নইলে খুনি হাসিনা বা ফ্যাসিবাদের মতো ভয়াবহ পরিণতি তাদেরও ভোগ করতে হবে।’

পরে রাত ১২টার দিকে ভিপি সাদিক কায়েম কুষ্টিয়ার কাটায়খানা মোড়ে অবস্থিত ‘আবরার ফাহাদ লাইব্রেরি’ পরিদর্শন করেন। সেখানে কিছু সময় অবস্থান করে রাত বারোটার পর ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি ও তার সফরসঙ্গীরা।