ঢাকা বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

মানিকগঞ্জে পৃথক ৩ হত্যায় গ্রেপ্তার ২

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৫, ০৮:৪১ পিএম
প্রতীকী ছবি

মানিকগঞ্জে পৃথক দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এর মধ্যে একজন হলেন স্কুলছাত্র আব্দুল্লাহ রাব্বি হত্যা মামলার প্রধান আসামি, অপরজন শিশু মরিয়ম আক্তার ও তার মা সিথি আক্তার স্মৃতি হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি।

স্কুলছাত্র রাব্বি হত্যাকাণ্ড
র‌্যাব-৪ (সিপিসি-৩)-এর একটি দল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে চাঁদপুর সদর থানার মনিহার এলাকা থেকে রাব্বি হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করে।

বুধবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৪ (সিপিসি-৩)-এর স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি মাজহারুল হক।

গ্রেপ্তারকৃত কিশোর মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মধ্য পুটাইল এলাকার বাসিন্দা এবং লেমুবাড়ী বিনোদা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। নিহত রাব্বি একই এলাকার কাফাটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

র‌্যাব জানায়, ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে গত ১১ অক্টোবর রাতে কালীগঙ্গা নদীর পশ্চিম পাড়ে লক্ষ্মীপূজার মেলায় রাব্বির ওপর ছুরিকাঘাত করে ওই কিশোর ও তার সহযোগীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক রাব্বিকে মৃত ঘোষণা করেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, নিহত রাব্বির মা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত প্রধান অভিযুক্তকে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে গাজীপুরের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

শিশু মরিয়ম ও তার মাকে হত্যা
অন্যদিকে, জেলার শিবালয় উপজেলার আলোচিত শিশু মরিয়ম আক্তার (০৩) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন আসামি মো. সুজন শেখ (২৭)-কে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার গয়াহাটা এলাকা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪ (সিপিসি-৩) ও র‌্যাব-১৪ (সিপিসি-৩)-এর যৌথ দল।

গ্রেপ্তারকৃত সুজন শেখ শিবালয়ের আলোকদিয়া ময়েনউদ্দিনপাড়া এলাকার মো. ছায়েদ আলীর ছেলে।

র‌্যাব জানায়, নিহত মরিয়মের পিতা আব্দুল রাজ্জাক পেশায় জেলে। গত ২৩ অক্টোবর রাতে তিনি মাছ ধরতে নদীতে গেলে পরদিন সকালে স্থানীয়রা তার মেয়ে মরিয়মের মরদেহ যমুনা নদীর পাড়ে এক পেয়ারা বাগানে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে।

ঘটনার পর মরিয়মের মা সিথি আক্তার স্মৃতি (২৩) নিখোঁজ হন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার সুজন শেখ স্বীকার করেন, তিনি শিশু মরিয়ম ও তার মা সিথি আক্তার স্মৃতিকে হত্যা করেছেন। স্মৃতির মরদেহ বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেন বলে তিনি জানান।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সুজন শেখ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জোড়া হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। মরিয়মের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার সুজন শেখকে বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করা হবে।