ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

দুই বছর ধরে বন্ধ সৈয়দগাঁও কমিউনিটি ক্লিনিক, সেবা বঞ্চিত রোগীরা

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৫, ০৫:০১ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ময়মনসিংহের নান্দাইলের সৈয়দগাঁও কমিউনিটি ক্লিনিকে (সিএইচসিপি) কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার না থাকায় দুই বছর ধরে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

ক্লিনিকে নিযুক্ত সিএইচসিপি চাকরি পরিবর্তন করে অন্যত্র যোগ দেওয়ার পর নতুন করে কাউকে নিয়োগ না দেওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ফলে স্থানীয় চার গ্রামের মানুষ ওই ক্লিনিক থেকে কোনো ধরনের সেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নান্দাইল উপজেলায় মোট ৪০টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। এর মধ্যে মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের সৈয়দগাঁও কমিউনিটি ক্লিনিক একটি। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১ মার্চ আকলিমা বেগম নামে একজন সিএইচসিপি এখানে যোগদান করেন। তবে একই বছরের অক্টোবরে তিনি বেসরকারি একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ায় সিএইচসিপির চাকরি ছেড়ে দেন। তখন থেকেই পদটি শূন্য পড়ে আছে। এ কারণে স্থানীয় লোকজন গত দুই বছর ধরে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, ক্লিনিকটি তালাবদ্ধ। ক্লিনিকের জমিদাতা মনির উদ্দিন খান মিনু জানান, তার এক মেয়েকে চাকরি দেওয়ার শর্তে তিনি জমি দিয়েছিলেন। কিন্তু চাকরি দেওয়া হয়নি। বরং দূরের মানুষেরা নিয়োগ পেয়েছেন। ফলে তারা নিয়মিত ক্লিনিকে আসেন না। দুই বছর ধরে কোনো ‘ডাক্তার’ (সিএইচসিপি) আসছেন না, তাই রোগীও আসে না।

স্থানীয় বাসিন্দা বৃদ্ধ হাফিজ উদ্দিন মীর বলেন, ‘চার-পাঁচ গ্রামের মানুষ এখানে সেবা পেত। দুই বছর ধরে ক্লিনিক বন্ধ পড়ে আছে।’

বৃদ্ধা আঙ্গুরা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ডাক্তর আইয়ে না। এর লাইগ্যা উপজেলা হাসপাতাল গিয়া ওষুধ আনতে হয়। এইহানে ডাক্তর দেয় না তে এইডা বানাইছে কেরে!’

সাবেক সিএইচসিপি আকলিমা বেগম জানান, ‘তিনি কর্মরত থাকা অবস্থায় প্রতিদিন ৮০ থেকে ১০০ জন রোগী সেবা নিতেন। পদটি খালি থাকায় এখন রোগী না আসার বিষয়টি তিনিও শুনেছেন।’

এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমা সুলতানা জানান, ক্লিনিকটিতে একজন সিএইচসিপি নিয়োগের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার চিঠি পাঠানো হয়েছে।