নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেফতারের সময় তার বহনকারী পুলিশের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (৯ মে) ভোর পৌনে ৬টার দিকে শহরের দেওভোগ এলাকার নিজ বাসভবন চুনকা কুটির থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আইভীকে নিয়ে যাওয়া পুলিশের গাড়ির ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। গুরুতর আহত এক পুলিশ সদস্যকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিতে দেখা যায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিরউদ্দিন আহামদকে।
চোখে পড়া এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আইভীকে বহনকারী গাড়িটি মিছিলের সামনের সারিতে ছিল এবং পেছনে তার সমর্থকেরা মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলেন। মিছিলটি গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকের মোড় অতিক্রম করার পরেই আমলাপাড়া স্বর্ণপট্টির মুখ থেকে একদল যুবক ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করে। একই সময় দু’টি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে দ্রুত গতিতে গাড়িটি পৌঁছালে আইভীকে নিরাপত্তার মধ্যে সেখানে নেওয়া হয়। ঘটনার পর হামলাকারীরা শহরে ঝটিকা মিছিল বের করে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দেয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী বলেন, ‘আমরা সামনের গাড়িতে ছিলাম, পেছনের হামলার বিষয়ে বিস্তারিত জানি না। পরে জানানো হবে।’
এর আগে রাত পৌনে ১২টা থেকেই আইভীর বাসভবন চুনকা কুটিরের সামনে অবস্থান নেয় পুলিশ। খবর পেয়ে তার সমর্থকেরা আশপাশে জড়ো হন। এলাকায় পুলিশের উপস্থিতির খবর মসজিদে মাইকে ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ এসে রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে চলতে থাকে ধাক্কাধাক্কি ও স্লোগান। প্রায় ৬ ঘণ্টার উত্তেজনার পর ভোরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
