ঢাকা বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫

সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগ–বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের শঙ্কা

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০৯:৪০ এএম
বিরোধকৃত জমি। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। বিষয়টি বর্তমানে রাজনৈতিক রূপ নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বারদী ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুর মোহাম্মদ (৬৫) ও তার ছেলে শরীফ হোসেন (২৪) বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ ও আবুল কাশেমের ক্রয়কৃত ১৫ শতাংশ জমি দখলের চেষ্টা করছেন। এ নিয়ে মছলন্দপুর গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ভুক্তভোগী আবুল কাশেম থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, চলতি বছরের ৪ এপ্রিল তিনি ও বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ দৌলরদী গ্রামের মৃত খালেক মিয়ার ছেলে আলম গংদের কাছ থেকে মছলন্দপুর মৌজার সিএস, এসএ ১৩ দাগ ও আরএস ১৫ দাগের পৈতৃক সম্পত্তি থেকে ১৫ শতাংশ জমি ২৪ লাখ টাকায় রেজিস্ট্রিকৃত বায়নানামা দলিলের মাধ্যমে ক্রয় করেন। ক্রয়ের পর জমিতে সাইনবোর্ড লাগালে নুর মোহাম্মদ ও তার ছেলে জোরপূর্বক দখলের পাঁয়তারা শুরু করেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নুর মোহাম্মদ ও তার ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান মো. জহিরুল হক জহিরের ছত্রছায়ায় দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে জমিটি ভোগদখল করে আসছিলেন। সরকার পরিবর্তনের পর জমির মূল মালিক আলম গংরা বিএনপি নেতাদের কাছে জমি বিক্রি করলে নুর মোহাম্মদ পক্ষ আবারও সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং প্রকাশ্যে ‘প্রয়োজনে লাশ ফেলবে’ বলে হুমকি দেয়।

এলাকাবাসীর আশঙ্কা, জমি নিয়ে এ বিরোধ রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে রূপ নিলে যেকোনো সময় দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে।

অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘ক্রয়সূত্রে জমিটির মালিক আমি। আবুল কাশেমসহ কয়েকজন জোরপূর্বক সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। আমি থানায় অভিযোগ করেছি এবং আদালতে মামলা চলছে। আদালত যদি তাদের পক্ষে রায় দেন, আমার কোনো আপত্তি নেই।’

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাসেদুল হাসান খান বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিষয়ে উভয় পক্ষই লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। শুনেছি বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি যাতে সংঘর্ষ না ঘটে।’