নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় চাঁদা তুলতে গিয়ে গণপিটুনিতে সোহেল আহমেদ (৩২) নামের এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ব্রাক্ষন্দী ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহেল ব্রাক্ষন্দী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং বালিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, অস্ত্রসহ প্রায় ১২-১৩টি মামলা রয়েছে।
ঘটনার বিবরণ
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সোহেল ইউপি চেয়ারম্যান লাক মিয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতেন এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি এলাকা ছেড়ে গা-ঢাকা দেন। তবে সম্প্রতি আবার এলাকায় ফিরে এসে পুরোনো রীতিতেই চাঁদাবাজি শুরু করেন।
আজ সোমবার সকালে সোহেল তার তিন সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে বালিয়াপাড়া এলাকার শরিফ নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে চাঁদা আদায়ের জন্য যান। এ সময় শরিফের পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয় জনতা তাকে ধরে ফেলে। তার তিন সহযোগী পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও সোহেলকে আটকে রাখা হয়। পরে উত্তেজিত জনতা ও বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা মিলে তাকে বেধড়ক মারধর করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আইনের বক্তব্য
এ ঘটনায় আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘নিহত সোহেল দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। কয়েকদিন আগেও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সোমবার সকালে চাঁদা তুলতে গিয়ে গণপিটুনিতে তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত ও পরবর্তী আইনি কার্যক্রম চলমান।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন