রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে শুক্রবার (২১ নভেম্বর)। এদিন সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে রিখটার স্কেল অনুযায়ী ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। যা কয়েক সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
উৎপত্তিস্থল ঢাকার পাশে নরসিংদীর মাধবদীতে হওয়ায় তা পুরো দেশকে নাড়িয়ে দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে উৎপত্তি হওয়া সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প ছিল এটি। এতে অবকাঠামোগত প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শিশুসহ নিহত হয়েছে অন্তত ১১ জন। আহত আছে তিন শতাধিক।
শক্তিশালী ভূমিকম্পে পুরো জেলা কেঁপে ওঠে। ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাবস্টেশনের একটি ট্রান্সফরমারে আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অপর ট্রান্সফরমারগুলোর বেশিরভাগ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
সরেজমিনে নরসিংদীর পলাশ ও মাধবদী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন উঁচু ভবনে পড়েছে ভূমিকম্পের ছাপ। পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ ক্যাম্পাসের আঙিনার মাটি দেবে গেছে। প্রধান ফটকের সামনের একটি টিনশেডের মেঝে ফেটে গেছে।
ঘোড়াশাল ডেইরি ফার্মের ভেতরের মাটিতে ব্যাপক ফাটল দেখা দিয়েছে। সেখানকার মাটি ফেটে আদালা হয়ে গেছে। সেখানে মাটিতে কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি ফাঁক হয়ে গেছে। ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রেও আগুন লেগে যায়। এতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বেশ কিছু যন্ত্রাংশের ক্ষয়ক্ষতি হয়।
একইসঙ্গে ঘোড়াশাল এলাকার ছয়টি বাড়ি ও এস এ প্লাজা নামে একটি সাততলা শপিং মলে ফাটল ধরে। পাশাপাশি ঘোড়াশাল বাজারের বিভিন্ন ভবনের ছাদ থেকে দেয়ালের ইট পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া নরসিংদী শহর মাধবদী, পলাশ ও ঘোড়াশালে একাধিক ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের বিষয়ে নরসিংদী জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসকদের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের সকল তথ্য পেয়ে যাবো।



