নাটোরে বিএনপির মতবিনিময় সভায় দুগ্রুপের সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষে অন্তত ৪ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১১ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে গুরুদাসপুরে উপজেলার চাঁচকৈড় শিক্ষা সংঘ পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এদিন বিকেল থেকে শিক্ষা সংঘের মাঠে উপজেলা ও পৌর বিএনপি কমিটির কার্যক্রমে গতিশীলতা ও দলকে সংগঠিত করার লক্ষ্য স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে জেলা বিএনপির সভা চলছিলো।
মতবিনিময় সভায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমরা বিগত দুর্দিনে-দুঃসময়ে আন্দোলন সংগ্রামে কাউকেই খুঁজে পাইনি।’
এ সময় তার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি নাজমুল করিম নজু। এরপরেই তোপের মুখে পড়েন নজু। একপর্যায়ে আব্দুল আজিজের লোকজন নজুকে ঘিরে ধরেন।
এর জের ধরে সভা মঞ্চের বাইরে থাকা জেলা বিএনপির সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল সমর্থকদের সঙ্গে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আজিজের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষসহ গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এ সময় পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুফি মো. আবু সাঈদ ও বিএনপি কর্মী আফতাব হোসেন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৪ জন হন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যখন দুই পক্ষের মধ্য ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছিলো, তখন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান খান বাবুল চৌধুরী সংঘর্ষ থামাতে সরাসরি দু'পক্ষের মাঝখানে গিয়ে দাঁড়ান এবং শান্ত করার চেষ্টা করেন।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান খান বাবুল চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জেলা বিএনপি নেতাদের সঙ্গে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতবিনিময় সভা ঘিরে গুরুদাসপুরে আজকে যা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। সামান্য তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সতর্ক করা হয়েছে। পরবর্তীতে দলীয় হাইকমান্ডের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।’
গুরুদাসপুর থানার ওসি আসমাউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
