নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সালমান রহমান পল্লবকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পল্লবকে দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।
এর আগে তার বিরুদ্ধে নারীকে হেনস্তা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলেন ইসলামী বক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী।
বুধবার (৭ মে) বিকেলে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে পল্লবের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এ ইসলামী বক্তা।
পরে রাত ৮টায় তিনি এ বিষয়ে পূর্বধলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
ফেসবুক পোস্টে রফিকুল ইসলাম মাদানী বলেন, আমি স্তব্ধ, বাকরুদ্ধ- বলার মতো কোনো ভাষা নেই। এসব কথার কারণে আওয়ামী লীগের লোকজন হয়তো হাসাহাসি করবে। কিন্তু বাস্তবতা তো এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। আমার এক চাচাতো ভাই তার ভাতিজিকে নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। সে নিজে প্রাইভেটকারচালক, আর মেয়েটি পেছনের সিটে শুয়ে ছিল। মেয়েটি বিবাহিত। পথে পূর্বধলা থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক পল্লব ও তার দলবল মিলে শ্যামগঞ্জ বাজারে রাতে ২০-২৫ জনের একটি দল গাড়ি থামিয়ে টেনেহিঁচড়ে মেয়েটিকে নামিয়ে শ্লীলতাহানি করে। তারা মেয়েটিকে চড়থাপ্পড় মারে এবং জোরপূর্বক নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমার ভাই তাদের থামাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। মেয়েটিকে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় যোগাযোগ করি। পূর্বধলা থানার ওসি ঘটনাস্থলে গেলেও, আমি ফোনে থাকার সময়ও দেখেছি, ওসির সামনে আমার ভাইকে হুমকি ও গালাগালি করা হচ্ছে এবং আঘাত করা হয়েছে।
‘আমি পল্লবসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের উপযুক্ত বিচার দাবি করছি। একই সঙ্গে, যিনি নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, সেই পূর্বধলা থানার ওসিকে অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। মাগরিবের পরে আমি সাংবাদিক সম্মেলন করব।’
এ প্রসঙ্গে পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার বিষয়ে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ করলে তখন এই বিষয়ে আমি বলতে পারব। তার আগে আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না।