নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় পারিবারিক কলহকে কেন্দ্র করে আনোয়ার হোসেন সাব্বির (২২) নামের এক তরুণকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে দুজনকে আটক করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ঘটনা ঘটে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের চর গুল্যাখালী গ্রামের পান বেপারী বাড়িতে। গুরুতর আহত অবস্থায় ভিকটিমকে ঢাকা নেওয়ার পথে রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত সাব্বির উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রামেশ্বপুর গ্রামের তাজু ড্রাইভারের ছেলে মো. লিটনের সন্তান। অপরদিকে আটককৃতরা হলেন, ধানশালিক ইউনিয়নের পান বেপারী বাড়ির মো. সিরাজের ছেলে আব্দুর সোবহান শামীম (৩০) ও তার স্ত্রী ফারহানা আক্তার (২৩)।
নিহতের বন্ধু আনোয়ার হোসেন শাকিল বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে ৪-৫ দিন আগে চর গুল্যাখালী গ্রামের পান বেপারী বাড়ির খালার খেতের লাউ গাছ গোপনে কেটে ফেলার অভিযোগ আসে।
এরপর বুধবার বিকেলে মরিচ গাছের চারা কেটে ফেলার সময় সাব্বির তার দেবর শামীমকে দেখে ফেলেন। এসময় দেবর তার খালাকে মারধর শুরু করে। পরে সন্ধ্যার দিকে সাব্বির ও বন্ধুদের খালার বাড়িতে যাওয়ার সময় শামীম তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সাব্বিরকে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে রাতে তিনি মারা যান।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া বলেন, “পারিবারিক কলহের জেরে তরুণকে গুরুতর আহত করা হয়। পুলিশ এ ঘটনায় অভিযানে রয়েছে এবং পরে আরও বিস্তারিত জানানো হবে।”


