ঢাকা শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

বাগমারার কানচ-কুড়ি বিলে দেশীয় মাছের পোনা অবমুক্তকরণ

বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২৪, ০৮:৪৪ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নদীমাতৃক দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। একসময়ে নদীনালা, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড় ও প্রাকৃতিক জলাশয়ে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যেত। তখন আমাদের বলা হতো মাছে-ভাতে বাঙালি। বর্তমানে প্রাকৃতিক ও মনুষ্য সৃষ্ট নানা কারণে আমাদের নদীনালা, খাল-বিল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

একসময়ের কত খরস্রোতা নদী এখন বিলুপ্তির পথে। মাছও পাওয়া যায় না একেবারেই।

এ কারণেই হয়তো মাছে-ভাতে বাঙালি কথাটা ভুলতে বসেছে নতুন প্রজন্ম। তাদের অনেকে মাছের নামই জানে না।

প্রাকৃতিক জলাশয় কমে যাওয়ায় অনেক দেশীয় প্রজাতির মাছ এখন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এসব বিষয় মাথায় রেখে ৬আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করেছেন কান-চকুড়ি বিলের চারপাশের জমির মালিকগন। প্রায় আড়াই বছর পর প্রকৃত জমির মালিকগন তাদের অধিকার ফিরে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন জমির মালিকরা।

বাগমারার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের রমজানপাড়া গ্রামের কানচ-কুড়ি বিলের চারপাশের জমির মালিকরা জানান, একসময় দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছে হাটবাজার ভরা থাকত। এখন আর সেসব মাছ দেখা যায় না। গত কয়েক দশকে পরিচিত দেশীয় মাছ বাজার থেকে নেই হয়ে গেছে। দেশীয় মাছের বদলে এখন বাজারের জায়গা দখল করে নিয়েছে চাষের মাছ।

রমজানপাড়া গ্রামের কৃষক রফাতুল্যা প্রামানিক এর ছেলে পিএম আলাউদ্দিন বলেন , ‘নদীর মাছে যে স্বাদ, চাষের মাছে সেটা পাই না। চাষের মাছে সব সময়ই কেমন যেন একটা গন্ধ থাকে। নানা কারণেই দেশি প্রজাতির মাছ হারিয়ে গেছে। এর মধ্যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সঙ্গে মানুষের সচেতনতার অভাবও রয়েছে। হারিয়ে যাওয়া দেশি মাছ রক্ষায় ব্যাপক গবেষণার প্রয়োজন আছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রমজানপাড়া গ্রামের প্রভাষক লুৎফর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য ইনতাজ আলী, আকরাম আলী, আলহাজ্ব ফয়েজ উদ্দিন, আলহাজ্ব জনাব আলী, আশরাফুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, আবু তাহের,আশাদুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, আনিছার রহমান, সামচ্ছদ্দীন আলী,আতাব আলী, জসিম উদ্দিন, বিদ্যৎ হোসেন, সোহেল রানা, আবু রায়হান, হাবিবুর রহমান, আবু সাইদ, হাসিবুর রহমান, মফিজ উদ্দিন, নজের আলী, আজাদ আলী, আয়ুব আলী, আক্তার হোসেন প্রমূখ।