বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৫, ০৭:২৪ পিএম

ঋণ কেলেঙ্কারি

রিজার্ভ চুরিকেও হার মানিয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপ: শ্রম উপদেষ্টা

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৫, ০৭:২৪ পিএম

রিজার্ভ চুরিকেও হার মানিয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপ: শ্রম উপদেষ্টা

ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

দেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপ। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানের নামেই ১১টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ২৮ হাজার কোটি টাকার ওপরে ঋণ নেওয়া হয়েছে।

অস্তিত্ববিহীন ১৬টি প্রতিষ্ঠানের নামে নেওয়া হয়েছে আরও ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ। সব মিলিয়ে ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ রয়েছে বেক্সিমকোর।

উপযুক্ত জামানত ছাড়াই এসব ঋণ নেওয়া হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। বেক্সিমকো গ্রুপের এই ঋণ কেলেঙ্কারিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির থেকেও বড় কেলেঙ্কারি বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সাখাওয়াত হোসেন জানান, বেক্সিমকো টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেলস লিমিটেডের নামে ১১টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ২৮ হাজার ৫৪৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে উপযুক্ত জামানত ছাড়াই এই ঋণ নেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে সোনালী ব্যাংক থেকে ১ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংক থেকে ৪২০ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংক থেকে ৯৮৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা, জনতা ব্যাংক থেকে ২৩ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ৩১৫ কোটি, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) থেকে ৩৩৩ কোটি, এবি ব্যাংক থেকে ৯৮৩ কোটি, এক্সিম ব্যাংক থেকে ৪৯৭ কোটি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক থেকে ৬০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে ৯৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, আইএফআইসি ব্যাংক থেকে ৭৮ কোটি ২২ লাখ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড (বিআইএফএফএল) থেকে ৮৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে বলে জানান শ্রম উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, সম্পূর্ণ টাকা বেক্সিমকো টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেলস লিমিটেডের ঋণ। মোট হচ্ছে ২৮ হাজার ৫৪৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আগেই বলেছি ১৬টি অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এসব ঋণ ব্যাড ঋণ (খেলাপি ঋণ) কি না তা আমরা ব্যাংকের কাছে জিজ্ঞাসা করবো। এসব ব্যাংকের একটা খতিয়ান বা ইনকোয়ারি করা হবে। বিশেষ করে এই টাকাগুলো কীভাবে নেওয়া হয়েছে। আমরা যা দেখতে পারছি চর্মচক্ষে মনে হয় ব্যাংকে আমাদের প্রায় ১ মিলিয়ন ডলার চুরি হয়েছিল (বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি) তার থেকে বড় কেলেঙ্কারি। এই টাকা আমাদের টাকা, আপনাদের টাকা, ট্যাক্সের টাকা ব্যাংকে রেখেছে লোকজন। সেখান থেকে এটা উজাড় হয়েছে।

আরবি/ এইচএম

Link copied!