বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৫, ০৫:৩০ পিএম

ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও অ্যাপে লেনদেন ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৫, ০৫:৩০ পিএম

ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও অ্যাপে লেনদেন ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও অ্যাপস ব্যবহার করে জানুয়ারি মাসে লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা। আগের মাস ডিসেম্বরে ছিল ৯৮ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। এর আগে কোনো একক মাসে এত লেনদেন হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে অ্যাপসে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয় ইসলামী ব্যাংকের সেলফিন ও ইন্টারনেট মাধ্যমে। 

লেনদেনের প্রায় অর্ধেকই করেন ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকেরা। এরপর রয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের অ্যাপস নেক্সাস পে, সিটি ব্যাংকের সিটিটাচ্, ব্র্যাক ব্যাংকের আস্থা, ইস্টার্ন ব্যাংকের স্কাই ব্যাংকিং। এ ছাড়া স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমটিবি স্মার্ট, ঢাকা ব্যাংকের গো অ্যাপসসহ আরও কয়েকটি ব্যাংকের অ্যাপসে ভালো গ্রাহক রয়েছেন। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারিতে ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও মোবাইল অ্যাপসে গ্রাহক ছিলেন ১ কোটি ১৫ লাখ ৭ হাজার ৩০৩ জন। ওই মাসে লেনদেন হয় ১ লাখ ৪ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা। গত বছরের ডিসেম্বরে ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও মোবাইল অ্যাপসে গ্রাহক ছিলেন ১ কোটি ১২ লাখ ৪১ হাজার ৬৫৭ জন। 

ওই মাসে লেনদেন হয় ৯৮ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও মোবাইল অ্যাপসে গ্রাহক ছিলেন ১ কোটি ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৭৬৯ জন। ওই মাসে লেনদেন হয় ৮০ লাখ ৯৭৭ কোটি টাকা। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, মানুষ এখন ঘরে বসে সেবা নিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এজন্য গত জানুয়ারি মাসে হঠাৎ লেনদেন বেড়ে গেছে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, একসময় নগদ টাকা তুলে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে জমা দিতেন গ্রাহকেরা। কারণ, এক ব্যাংকের চেক অন্য ব্যাংক গ্রহণ করত না। পরে চেক গ্রহণ করলেও সেই টাকা জমা হতে বেশ কয়েক দিন সময় লেগে যেত। আবার টাকা পাঠানোর জন্য কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসাও ছিল জমজমাট। 

কেনাকাটা ও লেনদেনের পুরোটাই হতো নগদ টাকায়। পরিষেবা বিল পরিশোধের জন্যও ব্যাংকগুলোতে লাইন লেগে থাকত। মোবাইলে টাকা রিচার্জ করতেও প্রতিটি বাজার ও মহল্লায় ছিল একাধিক দোকান। কিন্তু ব্যাংকিং লেনদেনে এখন যুক্ত হয়েছে প্রযুক্তি। বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও অ্যাপসনির্ভর ব্যাংকিং সেবা। 

বর্তমানে দেশের প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও অ্যাপস দিয়ে ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করছেন। ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও অ্যাপসগুলোর মাধ্যমে হিসাবের স্থিতি জানা, যেকোনো ব্যাংকে টাকা স্থানান্তর, পরিষেবা বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ, টিকিট কেনা, কার্ডের বিল পরিশোধ, মাসিক সঞ্চয় হিসেবে টাকা জমাসহ নানা সুবিধা পাওয়া যায়।

জানতে চাইলে হেড অব সিটিটাচ্ ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সৈয়দ ইব্রাহিম সাজ্জাদ রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, বর্তমানে সিটিটাচ্রে গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮ লাখ। বর্তমানে প্রতিদিন ৪০০ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন করতে পারছেন সিটিটাচ্রে গ্রাহকরা। 

তিনি বলেন, গ্রাহকদের ব্যাংকে গিয়ে সেবা নিতে হচ্ছে না। সকল ধরনের সেবা মিলছে সিটিটাচ্ অ্যাপসে। এই অ্যাপস ব্যবহারে বর্তমানে একশ’র বেশি সেবা পাচ্ছেন সিটিটাচ্রে গ্রাহকরা। এতে গ্রাহকদের সময় যেমন বেঁচে যাচ্ছে ঠিক তেমনি ব্যাংকিং খাত হয়ে উঠছে পেপারলেস ও ক্যাশলেস। 
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!