রবিবার, ০৩ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৫, ০৩:০১ পিএম

পোড়া ভবনটির দিকে তাকিয়ে কাঁদছে শিক্ষার্থীরা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৫, ০৩:০১ পিএম

পোড়া ভবনটির সামনে শিক্ষার্থীরা। ছবি- সংগৃহীত

পোড়া ভবনটির সামনে শিক্ষার্থীরা। ছবি- সংগৃহীত

দুই সপ্তাহ আগে যেখানে ছিল ছোট্ট শিশুদের আনাগোনা, গুটি গুটি পায়ে দুরন্তপনা, ক্লাসে ছিল পাঠদান, ছিল শিক্ষক-ছাত্রের মিলনমেলা। সেখানে যন্ত্রদানব যুদ্ধবিমান আছড়ে পড়ে পুড়েছে বহু দেহ, নিশ্চিহ্ন হয়েছে বহু স্বপ্ন। সেখানকার বাতাসে এখনো পোড়া গন্ধ। তবে সেই ক্ষতস্থানটি এখন টিনে ঢাকা। আর সেই টিনের উপরে টানানো শহীদদের ছবি সম্বলিত একটি ব্যানার। ব্যানারে পুড়ে মারা যাওয়াদের ছবির দিকে তাকিয়ে কাঁদছেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।

মাহিন আল রাব্বি। মাইলস্টোনের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। রোববার (৩ আগস্ট) বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতবিক্ষত সেই ভবনটির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কথা বলতে চাইলে সে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে। রাব্বি বলল, ‘এই ভবনেই বাচ্চাদের ক্লাস হতো। এখন একটা বিধ্বস্ত কাঠামো। এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না।’

স্মৃতিচারণ করে সে বলল, ‘আমরা প্রতিদিন যেটাকে ভবিষ্যতের সিঁড়ি ভাবতাম, সেটা এখন স্মৃতির ভার হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।’

ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই শিক্ষার্থী ঢুকছে—নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির। কিন্তু নেই সেই চিরচেনা কোলাহল-হৈ-হুল্লোড়। কারও মুখে কোনো কথা নেই। কেউ কেউ সোজা চলে যাচ্ছে সেই টিনঘেরা অংশের কাছে। নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

সেই পোড়া ভবনের আশপাশে টহল দিচ্ছেন কয়েকজন কলেজকর্মী ও নিরাপত্তারক্ষী।

রোববার (৩ আগস্ট) সকালে মিলাদ মাহফিল, শোক ও স্মরণসভা আয়োজন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এতে অংশ নেয় কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীরা। এ ছাড়া শ্রেণিকক্ষগুলোতেও কিছু কিছু শিক্ষার্থীকে বসে থাকতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে, আগামী ৬ জুলাই (বুধবার) থেকে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম। 

তিনি বলেন, পরবর্তী তিন মাস শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থার উন্নয়নে কাউন্সেলিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ওইদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস কার্যক্রম শুরু হবে। এরপর পরবর্তী অবস্থা বিবেচনায় বাকি ক্লাসগুলো চালুর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ঘটনার ভয়াবহতা কাটিয়ে শিক্ষার্থীদের ধীরে ধীরে শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনতে আমরা ধাপে ধাপে কাজ করছি। এখনো আমরা নিয়মিত ক্লাস শুরুর অবস্থায় যাইনি। আগামীকাল (৪ আগস্ট) ক্লাস থাকলেও তা হবে মূলত কাউন্সেলিংভিত্তিক। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন, তাদের মানসিক অবস্থা বোঝার চেষ্টা করবেন।

তিনি বলেন, কেউ যদি এখনো মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকে বা আতঙ্কে থাকে, তাহলে আমরা তাকে ব্যক্তিগত কাউন্সেলিংয়ে নিয়ে যাব।

প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর মাইলস্টোন কলেজ কর্তৃপক্ষ তিন দফায় ছুটি ঘোষণা করে। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলেজটি ২ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ ছিল। এর মধ্যেই চালু ছিল প্রশাসনিক কার্যক্রম, আহতদের সহায়তায় গঠন করা হয় একটি কন্ট্রোল রুম। 

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!