গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে গ্রেপ্তার স্বাধীন। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে ওই হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-১) কোম্পানি কমান্ডার কে এম এ মামুন খান চিশতী এ তথ্য জানিয়েছেন।
কোম্পানি কমান্ডার জানান, স্বাধীন এ ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বাধীন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ছিনতাইয়ের ভিডিও ধারণ করার কারণে তুহিনকে হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, ‘চক্রের নারী সদস্য বাদশাহ নামের এক ব্যক্তিকে বিরক্ত করছিল, তাই বাদশাহ সেই নারীকে আঘাত করে। এ ঘটনার পর চক্রের বাকি সদস্যরা বাদশাহকে ছুরি নিয়ে দৌড়াতে থাকে। বিষয়টি দেখে ভিডিও করছিল সাংবাদিক তুহিন। চক্রের সদস্যরা ভিডিও করা দেখে ফেলায় তার ওপর হামলা করে।’
মামুন খান চিশতী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ ও আসামির স্বীকারোক্তি থেকে প্রাথমিকভাবে হত্যার এটাই কারণ পাওয়া গেছে। তদন্তে আরও ভালোভাবে বিষয়টি জানা যাবে।
সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডে মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে, শুক্রবার সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় বাসন থানায় মামলা দায়ের করা হয়। নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় শাপলা ম্যানশনের সামনে এক নারীকে মারধর করে বাদশা মিয়া নামে এক ব্যক্তি। এ সময় কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাদশাকে আঘাত করে। এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন তুহিন। বিষয়টি টের পেয়ে হামলাকারীরা তুহিনকে ভিডিও ডিলিট করতে বলে। তখন তুহিন নিজের পরিচয় দিয়ে ভিডিও ডিলিট করতে অস্বীকার করেন। পরে পাশের একটি মার্কেটের সামনে তুহিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে তারা।
আপনার মতামত লিখুন :