ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৯ম ব্যাচের মেধাবী জেবুন্নেসা হক জিমি নামের এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার উত্তরার আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।
জানা গেছে, ‘জেবুন্নেসা হক জিমি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের (৯ম ব্যাচ) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পাকস্থলী ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। সর্বশেষ আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তিনি। ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি ফরিদপুর জেলার গজারিয়া উপজেলায়। জানা যায়, চার বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন তিনি।’
তার সহপাঠীদের সূত্রে জানা যায়, ‘২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ৬ষ্ট সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই শিক্ষার্থী। পরে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করলে পাকস্থলীতে আলসার ধরা পড়ে। এসময় ডাক্তার তাকে অপারেশনের পরামর্শ দিলে তাকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানান্তর করা হয়। পরে সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা মাধ্যমে তার পাকস্থলীতে ক্যান্সার সনাক্ত হয়। পরবর্তী ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অপারেশন করে পাকস্থলীর ৬০% কেটে বাদ দেওয়া হয় এবং ডাক্তারের পরামর্শে কেমোথেরাপি চলতে থাকে। তার কিছুদিন পর ওই শিক্ষার্থী একটু সুস্থ হয়ে উঠলে পুনরায় পড়ালেখা শুরু করে। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আবার ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যেতে থাকে তার।’
জিমির মৃত্যুতে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে। বিভাগটির চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, ‘জিমি একজন অধম্য মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলো। সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালে সে হঠাৎ অসুস্ত হয়ে পড়ে। পরে তার পাকস্থলীতে ক্যান্সার সনাক্ত হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসার মাধ্যমে কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে পুনরায় পুরো উদ্যমে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে চেয়েছিলো সে। কিন্তু আজ সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছে। তার মতো এমন এক মেধাবী শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে আমরা এবং আমাদের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ পরিবার গভীর ভাবে শোকাহত। আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।’