ঢাকা শুক্রবার, ০৬ জুন, ২০২৫

গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ কংগ্রেসে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ড. সবুর

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৫, ০৬:১২ পিএম
গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ কংগ্রেসে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের ড. সবুর খানের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের ২০ সদস্যের অংশগ্রহণকারী দল। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানাপলিসে ২ জুন থেকে চার দিনব্যাপী ‘গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ কংগ্রেস-২০২৫’ শুরু হয়েছে। এবারের আয়োজনে বাংলাদেশের একটি উচ্চপর্যায়ের ২০ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করছে, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ নেটওয়ার্ক (GEN) বাংলাদেশ এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান।

প্রতিনিধিদলে রয়েছেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তা ইকোসিস্টেমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, আর্থিক খাতের নীতিনির্ধারক, উদীয়মান স্টার্টআপ উদ্যোক্তা এবং বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার। এই দলের মূল উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদ্ভাবন, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও অর্থায়নে সহযোগিতা তৈরি করা।

দলের মূল উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে ড. সবুর খান বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো স্থানীয় উদ্ভাবনকে বৈশ্বিক অংশীদারত্বের সঙ্গে সংযুক্ত করা। গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ কংগ্রেস এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিশ্বব্যাপী উদ্যোক্তা ইকোসিস্টেম কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে, তা সরাসরি জানার সুযোগ মেলে। বাংলাদেশকে এই মঞ্চে তুলে ধরা আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

এ আয়োজনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের চারটি মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ১. উদ্ভাবনভিত্তিক আন্তর্জাতিক অংশীদারত্ব গড়ে তোলা। ২. উদ্যোক্তাদের জন্য বৈশ্বিক অর্থায়নের সুযোগ তৈরি করা। ৩. নীতিনির্ধারণ ও ইকোসিস্টেম উন্নয়নের আন্তর্জাতিক চর্চা শেখা। ৪. বাংলাদেশকে একটি উদ্যোক্তা-বান্ধব সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে উপস্থাপন করা।

গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ নেটওয়ার্কের অন্যতম সক্রিয় সদস্য হিসেবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশে তরুণ উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায়, আগামী নভেম্বরে GEN বাংলাদেশ চালু করতে যাচ্ছে ‘GEN Campus’—যা হবে একটি পূর্ণাঙ্গ উদ্যোক্তা সহায়ক কেন্দ্র। এখানে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য থাকবে প্রশিক্ষণ, মেন্টরিং, অর্থায়ন ও আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ।

গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ কংগ্রেস ২০২৫-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বিশ্ব উদ্যোক্তা সম্প্রদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের সংযোগ আরও গভীর করবে এবং উদ্ভাবননির্ভর অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।