সরকারি অনুদান বিতরণে তথ্যগত ত্রুটির কারণে ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ৪৬২ শিক্ষার্থী এখনো অনুদান পায়নি। তাই সংশ্লিষ্টদের তথ্য হালনাগাদ করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) বিভাগ।
গত ৩০ জুলাই মাউশির উপসচিব লিউজা-উল-জান্নাহ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ওই পত্রে বলা হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ অনুদান খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ বিতরণের লক্ষ্যে মাউশি বিভাগ ইতোমধ্যে মনোনীতদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।
গত ১৭ জুন প্রকাশিত ওই তালিকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে ১০১টি, শিক্ষক-কর্মচারী ক্যাটাগরিতে ২৫০ জন এবং শিক্ষার্থী ক্যাটাগরিতে মোট ৭,১০০ জন উপকারভোগী অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির ২,৪৫০ জন, নবম-দশম শ্রেণির ১,৫৯৭ জন, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ১,৪২৮ জন এবং স্নাতক ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের ১,২৭৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
তবে, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ লিমিটেড’ থেকে ২০ জুলাই পাঠানো তথ্যানুযায়ী দেখা যায়, মনোনীত ১০১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫০টির অনুদান পাঠানো সম্ভব হয়নি।
কারণ এসব প্রতিষ্ঠানের অনুদানের আবেদনপত্রে দেওয়া ব্যাংক হিসাব নম্বর, ব্যাংক শাখা ও রাউটিং নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য ভুল রয়েছে।
একইভাবে, শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থী ক্যাটাগরিতে মনোনীত ৭,১০০ জন উপকারভোগীর মধ্যে ৪৬২ জনের নগদ অ্যাকাউন্টের কেওয়াইসি (KYC) তথ্য হালনাগাদ না থাকায় অনুদানের অর্থ পাঠানো সম্ভব হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, যেসব উপকারভোগী তাদের আবেদনপত্রে দেওয়া মোবাইল নম্বরে এখনো টাকা পাননি, তাদেরকে আগামীকাল বৃহস্পতিবারের (৭ আগস্ট) মধ্যে নগদ অ্যাকাউন্টের কেওয়াইসি তথ্য আপডেট করতে হবে।
এ ছাড়া যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক-সংক্রান্ত তথ্য ভুল রয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানকে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও ব্যবস্থাপনা কমিটি/গভর্নিং বডির সভাপতির যৌথ স্বাক্ষরে সংশোধিত তথ্য (ব্যাংক হিসাবের শিরোনাম, ব্যাংকের নাম, শাখা, রাউটিং নম্বর, হিসাব নম্বর এবং লেনদেন-সংক্রান্ত সঠিক তথ্য) moebudgetsection@gmail.com এই ঠিকানায় ৭ আগস্টের মধ্যে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় সতর্ক করে জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য না পাঠালে সংশ্লিষ্ট অনুদান প্রক্রিয়া স্থগিত হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :