সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবি আদায়ে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন।
শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৯টায় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই সমাবেশ শুরু হবে।
এ সমাবেশের আয়োজন করেছে ছয়টি প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের যৌথ মোর্চা ‘সহকরী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’। এতে দেশের ৬৪ জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অংশ নেবেন।
শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, সমাবেশে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নেবেন।
ঐক্য পরিষদের নেতা ও বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন বলেন, সরকারকে আমরা নির্দিষ্ট সময়সীমা দিয়েছিলাম, কিন্তু তা পার হয়ে গেলেও দাবি পূরণে কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। তাই শনিবার ঢাকায় এই মহাসমাবেশ করা হচ্ছে।
শামছুদ্দীন জানান, সমাবেশের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে অনুমতির আবেদন করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এক লাখেরও বেশি শিক্ষক এতে অংশ নেবেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অতিথি হিসেবে আনার অনুরোধ করা হয়েছিল, তবে তার অন্য কর্মসূচি থাকায় বিএনপির একজন প্রতিনিধি সমাবেশে অংশ নেবেন। জামায়াতের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সেক্রেটারি।
এছাড়া এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলন ও গণঅধিকার পরিষদের নেতারাও শিক্ষকদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করবেন।
শিক্ষকদের তিন দফা দাবি
১. সহকারী শিক্ষকরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এন্ট্রি পদে ১১তম গ্রেডে বেতন-ভাতা পান।
২. সকল শিক্ষককে শতভাগ পদোন্নতি দেওয়া।
৩. ১০ ও ১৬ বছরপূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন।
দীর্ঘদিনের আন্দোলন
শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে এ দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। চলতি বছরের ৫ থেকে ১৫ মে সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিদিন এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হয়। পরে ১৭ মে থেকে দুই ঘণ্টা এবং ২১-২৫ মে পর্যন্ত আধাবেলা কর্মবিরতি অনুষ্ঠিত হয়।
২৬ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করা হয়। টানা চারদিনের কর্মবিরতির পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার আশ্বাসে ১ জুন ক্লাসে ফিরে যান শিক্ষকরা। কিন্তু তিন মাস পেরিয়ে গেলেও দাবিগুলো পূরণ না হওয়ায় আবারও মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
এর আগে ১৮ জুলাই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি চার দফা দাবিতে সরকারকে আলটিমেটাম দিয়েছিল। ঘোষণামতে, ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবিগুলো পূরণ না হলে সারাদেশের শিক্ষকরা টানা অনশন কর্মসূচি শুরু করবেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৪ লাখ শিক্ষক কর্মরত। প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১০, আর সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩।

 
                             
                                    



 সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       -20251025002118.webp) 
        
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন