সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সাদমান রাকিন, নোবিপ্রবি

প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম

দাম বৃদ্ধি করে রমজানে নোবিপ্রবির ছাত্রী হলে পচা-বাসি খাবার পরিবেশন

সাদমান রাকিন, নোবিপ্রবি

প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম

দাম বৃদ্ধি করে রমজানে নোবিপ্রবির ছাত্রী হলে পচা-বাসি খাবার পরিবেশন

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বৃহত্তম ছাত্রী হল, নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরাণী হলের খাবারের দাম ও মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হলের আবাসিক ছাত্রীরা।

ছাত্রীরা জানান, রমজানে যেখানে খাবার দাম কমিয়ে মান বাড়ানোর কথা সেখানে হলের ক্যান্টিনে খাবারের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে বিপরীতে কমেছে হলের খাবার মান। এ ছাড়া রমজানে সেহরি-ইফতারে প্রায়ই বাসী খাবার দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন হলের ছাত্রীরা।

সেহরিতে অনেক সময়ই খাবার থাকে না বলেও জানায় শিক্ষার্থীরা। কিন্ত হল ক্যান্টিন নিয়ে এতো অভিযোগ থাকা সত্বেও হল কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেয় না বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

এক শিক্ষার্থী জানান, রমজানে হলের খাবারের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগে মুরগি পাওয়া যেত ৪০ টাকায় এখন সেই মুরগি ৫০ টাকা নাম বদলে অনেক সময় ৬০-৭০ টাকাও নেয়া হচ্ছে। মুরগির মতো অন্যান্য সকল তরকারির দাম বাড়ানো হয়েছে। কিন্ত খাবারের মান বাড়েনি বরং অনেক ক্ষেত্রে কমেছে।

নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরাণী হলের সিএসটিই বিভাগের অবন্তিকা নাথ জানান, রমজান উপলক্ষ্যে যেখানে দাম কমানোর কথা সেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে। খাবারের দাম-মান এসব নিয়ে আমরা বারবার অভিযোগ দিয়েও কোনো সমাধান পাই না। হলের খাবারের মান খারাপ বলে আমাদেরকে রুমে রান্না করে খেতে হয়।

আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী পরিসংখ্যান বিভাগের মাছুমা আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হলের ক্যান্টিনে পচা-বাসি খাবার দেয়া হয় প্রায়ই।এগুলো নিয়ে অভিযোগ দিলে ২-১ দিন ঠিক থাকে। এরপর আবার আগের মতো অবস্থা হয়। রমজানেও প্রথম ২ দিন ঠিক ছিল, এরপর আবার আগের মতো অবস্থা হয়েছে। এসব নিয়ে কোনো স্থায়ী সুরাহা করছে না হল প্রশাসন।

নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরাণী হলের ডাইনিং ম্যানেজার জানান, রমজানে খাবারের মান বৃদ্ধি করা হয়েছে ফলে তরকারির দামও ১০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। 

পচা-বাসি খাবার পরিবেশনের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমরা সবসময়ই তাজা রান্না করা খাবার দেই। আর যেহেতু হলের ক্যান্টিনটা হোটেল সিস্টেম তাই মাঝে মাঝে খাবারের কম বেশি হয়ে থাকে।

এসব অভিযোগের ব্যাপারে নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরাণী হলের প্রভোস্ট ড. আবিদুর রহমানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি তাই আমি কোনো মন্তব্য করবো না। আর রমজান মাসে খাবারের দাম ৫-১০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে এটা তো তেমন কিছু না।

আরবি/এসআর

Link copied!