মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


হাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম

হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির অফিস ভাঙচুর, তদন্তে গড়িমসি

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি- সংগৃহীত

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি- সংগৃহীত

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ছাত্রদল কর্মী শামীম আশরাফির নেতৃত্বে হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির অফিস ভাঙচুরের ঘটনার ৫০ দিন পার হয়ে গেলেও এখনো তদন্ত শেষ হয়নি তদন্ত কমিটির।

হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ জুন আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার দিকে শামীম কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক সমিতির অফিস রুমে আসে এবং ক্যাফেটেরিয়ায় থাকা কর্মচারীর থেকে অফিসের চাবি চান। চাবি না দেওয়ায় শামীম ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন ও লাথি মেরে অফিসের কাচের দরজা ভেঙে ফেলেন। সাংবাদিক সমিতির কোনো সদস্য না থাকায় অফিস ভাঙচুর করে চলে যান।

ঘটনার পর ৫ জুলাই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ সহসভাপতি জাকির উদ্দিন আবিরকে প্রধান করে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাব্বি হাসান ও সাইদুল ইসলামকে নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা। তদন্ত কমিটি গঠনের নোটিশে ৬ জুলায়ের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে লিখিত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।

তদন্ত কমিটির প্রধান কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি জাকির উদ্দিন আবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য সাইদুল ইসলামের কাছে আপডেট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘state & politics hv' gone unrest.’

এদিকে তদন্ত কমিটি গঠনের পর তদন্ত কমিটির সদস্য মো. রাব্বি হাসান অভিযুক্তকে বাঁচাতে ডিপার্টমেন্টাল ইস্যু তৈরির জন্য মানববন্ধন করানোর নির্দেশের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

যেখানে ওই তদন্ত কমিটিরই সদস্য রাব্বি হোয়াটঅ্যাপে কাউকে লেখেন, ‘একটা মানববন্ধন করাও ছেলেটার ব্যাচমেটগুলো দিয়ে। করতে পারলে খুব ভালো হবে৷’

হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো. গোলাম ফাহিমুল্লাহ বলেন, ‘এটা জানাই ছিল ছাত্রদল কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে না, শুধু তদন্তের নামে নাটক করবে। এভাবেই একটি দল সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। কেন্দ্রীয় ছাত্রদল যদি এভাবে এরকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকারীকে সাপোর্ট দিয়ে যায় ভবিষ্যতে সংগঠনটি সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থলে পরিণত হবে।’

সাধারণ সম্পাদক মো. তানভীর হোসাইন বলেন, এতদিনেও সাংবাদিক সমিতির অফিস ভাঙচুর তদন্তের প্রতিবেদন ও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি ছাত্রদল, যা খুবই হতাশার। নতুন বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতির পরিবর্তন হচ্ছে না। এর মাধ্যেমে আবারও ভিন্নমতের দমন পীড়ন আর সহিংসতার রাজনীতিকে আসকারা দিচ্ছে ছাত্রদল।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!