শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বাকৃবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম

এই প্রজন্মে অন্ধ আনুগত্য, ভাই পলিটিক্স চলবে না: শিবির সভাপতি

বাকৃবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম

বক্তব্য দেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বক্তব্য দেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ২০২৪-২৫ সেশনের নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাল বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, বাকৃবি শাখা। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রামে অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।

অনুষ্ঠানে শাখা শিবিরের সভাপতি আবু নাছির ত্বোহার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম। এ ছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রহুল আমিন, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু জোফার মো. মোসলেহ উদ্দিন, কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো মশিউর রহমান, অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেনসহ আরও অনেকে।

নবীনবরণ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠ সাজানো হয় ফুল, ব্যানার ও লাল গালিচায়, পাশাপাশি ছবি তোলার জন্য রাখা হয় বাসের আদলে তৈরি বিশেষ স্টল এবং মতামত জানাতে ‘ছাত্রশিবির নিয়ে ভাবনা বোর্ড’। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে নবীনরা জমায়েত হতে থাকে। তাদের জন্য উপহার হিসেবে ব্যাগ, টি-শার্ট, প্যাড, বই, কলমদানী ও চাবির রিং প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে কৃষিবিষয়ক বিভিন্ন সেক্টরে সফল শিবিরের সাবেক নেতারা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন, আর বক্তৃতার বিরতিতে ইঙ্গিত সংসদের শিল্পীরা ইসলামি সংগীত পরিবেশন করেন।

ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এই প্রজন্মে অন্ধ আনুগত্য, ভাই পলিটিক্স চলবে না। এখন আর জোর করে মিছিলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলারও সাহস কেউ পাবে না, ৫ আগস্টে এর কবর রচনা হয়ে গেছে। বাঙালি সংস্কৃতির নামে কলকাতার সংস্কৃতি আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমরা চাই আমরা আমাদের আত্মপরিচয় ও আত্মসম্মানের সংস্কৃতি চর্চা করতে।’

দেশের শিক্ষার মানোন্নয়নে শিবিরের পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ছাত্রশিবির ইতোমধ্যে ৩০ দফা শিক্ষা প্রস্তাবনা দিয়েছে। সরকারে এটি বাস্তবায়ন হলে শিক্ষা, গবেষণা ও কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে আমরা অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারব।’

সমাপনী বক্তব্যে শাখা সভাপতি আবু নাসির ত্বোহা বলেন, ‘বাকৃবির নবীন শিক্ষার্থীরা সত্যিই ভাগ্যবান, কারণ দীর্ঘ ৩৪ বছর পর আমরা আবার এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পেরেছি। এই অনুষ্ঠানে আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ আমাদের আরও উৎসাহিত করেছে। দেশের কৃষিখাতকে এগিয়ে নিতে নবীনদের এগিয়ে আসতে হবে, আর সৎ, দক্ষ ও চরিত্রবান মানুষ হয়ে জাতির ইতিবাচক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।’

Link copied!