ঢাকা শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫

সেই এইচএসসি পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম
এইচএসসি পরীক্ষা দিতে না পারায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন আনিসা। ছবি- সংগৃহীত

এইচএসসি পরীক্ষার্থী আনিসা আহমেদ মায়ের স্ট্রোক হওয়ার কারণে পরীক্ষাকেন্দ্রে দেরিতে পৌঁছান এবং প্রথম দিনের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হলে মানবিক সহানুভূতির ঢেউ ওঠে, এবং এখন জানা গেছে যে তাকে পুনরায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।

শুক্রবার (২৭ জুন) সরকারপ্রধানের প্রেস উইং থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়েছে এবং আনিসার মতো শিক্ষার্থীর মানবিক অবস্থাকে সম্মান জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন)। পরীক্ষার দিন রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ কেন্দ্রের এক পরীক্ষার্থী দেরিতে কেন্দ্রে পৌঁছালে তাকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গুরুত্বের সঙ্গে তা আমলে নিয়েছে।

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) বলেন, মানবিক বিবেচনায় আনিসার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষাটি পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত আইন ও বিধির আলোকে পুনরায় নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। আমরা তার এই দুঃসময়ে তার পাশে আছি এবং তাকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

ঘটনার পেছনের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী, ২৬ জুন সকালেই আনিসার মা স্ট্রোক করেন। বাবাহীন আনিসা মাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর তিনি পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছান সকাল ১১টার দিকে, যেখানে পরীক্ষা শুরু হয়েছিল সকাল ১০টায়। দেড় ঘণ্টা পরে পৌঁছানোয় কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাকে পরীক্ষা দিতে না দিয়ে ফিরিয়ে দেন।

আনিসার সঙ্গে আসা তার খালা গণমাধ্যমকে বলেন, ওর বাবা নেই। সকালেই ওর মা স্ট্রোক করেন। হাসপাতালে ভর্তি করাতে গিয়ে ও দেরি করে ফেলে। পরে অনেক কাকুতি-মিনতি করলেও তাকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি।

ঘটনার সামাজিক প্রতিক্রিয়ায় অনেকে পরীক্ষার্থীটির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন এবং মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাকে ফের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার দাবি তোলেন।

বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি আইনানুগভাবে সমাধান করার চেষ্টা করছে এবং আনিসাকে পুনরায় বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়ার প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে বলে সূত্র জানায়।