ভারতীয় সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের মৃত্যু নিয়ে নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে আসামে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দাবি করেছেন, জুবিনের মৃত্যু কোনো দুর্ঘটনা নয়; এটি ছিল পরিকল্পিত হত্যা। মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে রাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সাধারণ মানুষের মধ্যেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
আসাম বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন এই বিতর্কিত প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়। বিধানসভায় বিরোধী দল যখন রাজ্যের কর্মসংস্থান, অর্থনীতি ও মানবকল্যাণ ইস্যুতে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছিল, তখনই প্রয়াত জনপ্রিয় এই শিল্পীর মৃত্যুর বিচার চেয়ে সরব হন একাধিক সদস্য।
‘অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’ (এআইইউডিএফ)-এর বিধায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বহু বিষয় নিয়েই আলোচনা করব। কিন্তু জুবিন গার্গ যাতে বিচার পান, সেই দাবিটিও তুলব। তিনি অসমবাসীর হৃদয়ে বাস করতেন।
তিনি জুবিনের মৃত্যুর সঠিক বিচার না হওয়াকে সরকারের চরম ব্যর্থতা বলেও উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার ‘পরিকল্পিত হত্যা’র দাবি রাজ্যের সাধারণ মানুষ ও জুবিনের ভক্তদের মধ্যে নতুন করে রহস্য, ক্ষোভ ও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এর আগেই জুবিনের মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে আসামে আনার পর রাজ্য পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে মোট ৬০টি মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্তের জন্য গঠন করা হয় বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি)।
উল্লেখ্য, গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে জুবিন গার্গের মৃত্যু হয়। ওই সময় তিনি ‘নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যাল’-এ অংশ নিতে সেখানে অবস্থান করছিলেন। সিঙ্গাপুরে সম্পন্ন হওয়া ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে তার মৃত্যুর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্রের প্রমাণ মেলেনি বলে জানানো হয়। প্রতিবেদনে পানিতে ডুবে মৃত্যুর কথাই উল্লেখ করা ছিল।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্যে সেই চিকিৎসা প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা ও তদন্তের গতিপথ নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।


