মা দিবসে নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে যমজ সন্তানের কথা জানিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনায় এসেছেন হলিউড তারকা অ্যাম্বার হার্ড। গুঞ্জন উঠেছে এই সন্তানের বাবা ইলন মাস্ক।
এর আগে ২০২১ সালে কন্যা উনাহ্কে দত্তক নিয়েছিলেন অ্যাম্বার হার্ড। এবার দুই নবজাতক মেয়ে অ্যাগনেস ও ছেলে ওশানকে স্বাগত জানিয়ে তিন সন্তানের ‘হার্ড গ্যাং’- এর ঘোষণা দিয়েছেন ‘আকোয়াম্যান’ তারকা।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে এই যমজদের বাবা কি ইলন মাস্ক নাকি অন্য কেউ?
মা দিবসের সকালে এক আবেগঘন ক্যাপশনে অ্যাম্বার লেখেন, ‘মা দিবস ২০২৫ আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে। বহু বছর ধরে আমি একটি পরিপূর্ণ পরিবার গড়ে তুলতে চেয়েছি। আজ আমি জানাতে পেরে আনন্দিত, আমার যমজ সন্তান অ্যাগনেস ও ওশান আমার জীবনে এসেছে।’
মাতৃত্বের পূর্ব অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে তিনি আরও লেখেন, ‘আমার প্রথম সন্তান উনাহ্-কে পেয়ে যেমন বদলে গিয়েছিল আমার পৃথিবী, এবার যেন তিন গুণ বেশি খুশিতে আমার হৃদয় উপচে পড়ছে।’
একইসঙ্গে নিজের মাতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি যোগ করেন, ‘বন্ধ্যাত্বের মতো কঠিন চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে নিজ শর্তে মা হওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে নমনীয় অভিজ্ঞতা।’

যদিও এই আনন্দঘন ঘোষণায় সন্তানদের বাবার নাম কোথাও উল্লেখ করেননি হার্ড। তবে অনলাইনে এখন যে প্রশ্নটি সবচেয়ে বেশি ঘুরছে সেটি হলো- এই দুই সন্তানের পেছনে কি ইলন মাস্কের জেনেটিক সংযোগ আছে?
২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত অ্যাম্বার ও ইলনের সম্পর্ক নিয়ে হলিউড পাড়া বেশ সরগরম ছিল। সেই সম্পর্ক যদিও খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি, তবে ২০২২ সালের এক প্রতিবেদনে সামনে আসে এক বিস্ফোরক দাবি।
একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, অ্যাম্বার ও ইলন এক সময় সন্তানের কথা ভেবে ‘ফ্রোজেন এম্ব্রিও’ সংরক্ষণ করেছিলেন। পরবর্তীতে মাস্ক সেই এম্ব্রিও ধ্বংস করতে চাইলেও হার্ড তা রাখতে চান। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে আইনি টানাপোড়েন শুরু হয়। যদিও কেউই কখনো বিষয়টি প্রকাশ্যে স্বীকার করেননি।

তবে শুধু অনুমানই নয়, এমন আলোচনার পেছনে যথেষ্ট ভিত্তিও আছে বলে মনে করছেন নেটিজেনরা। কারণ, চার বছর আগে উনাহ্ জন্ম নেওয়ার পরও অ্যাম্বার তার বাবার পরিচয় গোপন রেখেছিলেন। এবারও সেই একই রহস্য রয়ে গেল। অনেকে বলছেন, ‘উনাহ্ যদি মাস্কের না-ও হন, অ্যাগনেস আর ওশান হয়তো মাস্কেরই।’
২০১৫ সালে অ্যাম্বার বিয়ে করেছিলেন জনি ডেপকে। কিন্তু এক বছরের মাথায় তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। সেই সম্পর্ক ঘিরেই শুরু হয় একের পর এক মানহানি ও নির্যাতনের মামলা, যা গড়ায় যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের আদালত পর্যন্ত।

হেরে-জিতে চলতে থাকা সেই যুদ্ধের মাঝেই অ্যাম্বার ধীরে ধীরে সরে যান সিনেমার জগৎ থেকে। ইনস্টাগ্রামের মন্তব্য অপশনও সেই সময় থেকে তিনি বন্ধ রেখেছেন।
তবে যতই তিনি নিজের জীবন গোপন রাখতে চান না কেন, তার প্রতিটি পদক্ষেপ যেন আলোড়ন তোলে। যেমন এই যমজ সন্তান গ্রহণ।
নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ‘আমি ও আমার স্বপ্নের পরিবার আজকের দিনটি উদযাপন করছি, সেই সমস্ত মায়েদের সঙ্গে, যারা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তেই থাকুন না কেন, মাতৃত্বের পথে হাঁটছেন।’
তবে এই উৎসবমুখর ঘোষণার ফাঁকেই পুরনো সেই এম্ব্রিও বিতর্কে যেন নতুন করে আগুন লাগল। ইলন মাস্ক কি গোপনে বাবা হয়েছেন?
উত্তর হয়তো কখনোই জানা যাবে না। তবে অ্যাম্বারের কথায়ই হয়তো লুকিয়ে আছে সত্যের ছায়া - ‘তারা সবাই এখন আমার হার্ড গ্যাং!’

 
                             
                                     সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       -20251025002118.webp) 
        
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন