শীতকালীন রূপচর্চায় ঘি

ঘি শুধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজারই নয়; বরং শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়ার একটি কার্যকরী উপাদান। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের সৌন্দর্যবৃদ্ধি নিজেই অনুভব করতে পারবেন। তবে ঘিয়ে যেন ভেজাল না থাকে। তাতে কিন্তু হিতে-বিপরীত হবে!

 কীভাবে ঘি দিয়ে শীতকালীন রূপচর্চা করবেন? 

নিচে থাকলো একগুচ্ছ টিপস-

ঘি দিয়ে ফেসমাস্ক
ঘি, ২ টেবিল চামচ বেসন আর ২ টেবিল চামচ হলুদের মিশ্রণ দিয়ে একটি ফেসমাস্ক তৈরি করুন। এটি ত্বকে প্রয়োগ করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আলাদা করে ময়েশ্চারাইজার লাগানোর খুব বেশি প্রয়োজন পড়ে না। এই মাস্ক ত্বককে উজ্জ্বল করে।

এবার আসা যাক রকমারি ব্যবহারে-
১) ঘি নিয়মিত ব্যবহার করলে এটি ত্বকের বার্ধক্য কমাতে সাহায্য করে। যেমন ফাইন লাইন, বলিরেখা প্রতিরোধ করে। এটি ত্বককে উজ্জ্বল এবং তারুণ্যদীপ্তও রাখে।

২) ত্বকের কোষকে গভীরভাবে পুষ্টি জোগাতে এবং ময়েশ্চারাইজড রাখতে ঘিয়ের জুড়ি মলা ভার। ত্বক নরম ও সতেজ অনুভূত হয় ঘি ব্যবহার করলে। এটি সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী। তবে তেলতেলে ত্বকের ক্ষেত্রে রোমকূপ আটকে যেতে পারে। পাতলা লেয়ারে প্রয়োগ করতে পারেন।

৩) শীতকালে ঠোঁট ফাটা এড়াতে ঘি লিপবামের কাজ করে। ঠোঁটফাটার চমৎকার প্রাকৃতিক সমাধান। ঠোঁটে গভীরভাবে আর্দ্রতা জোগায় ও পিগমেন্টেশন রোধ করে।
৪) নিয়মিত ঘি ব্যবহার করলে ত্বকের লালচে ভাব ও শীতকালীন ফুসকুড়ি হ্রাস পায় অনেকের ক্ষেত্রে।

৫) চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল দূর করতেও কার্যকর ঘি। এটি চোখের নিচে হালকাভাবে প্রয়োগ করে আলতোভাবে মালিশ করলে চোখের চারপাশ দ্রুত উজ্জ্বল দেখায়। তবে সপ্তাহে তিন দিন।