ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট, ২০২৫

হিরোশিমা ও নাগাসাকি, বোমা হামলার আগে ও পরে

ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৫, ০৮:১৬ এএম
ছবি- সংগৃহীত

১৯৪৫ সালের আগস্টের প্রথম দিকে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মোড় চিরতরে পাল্টে যায়, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাপানের উপর দুটি পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করে। এতে হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহর সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায় এবং ১,০০,০০০-এরও বেশি মানুষ নিহত হয়। এই বোমা হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল জাপানকে দ্রুত আত্মসমর্পণ করানো এবং যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানো। সেই সঙ্গে আমেরিকা তাদের নতুন পারমাণবিক প্রযুক্তির ভয়াবহতা বিশ্বকে- বিশেষত সোভিয়েত ইউনিয়নকে দেখাতে চেয়েছিল।

জাপানের সম্রাট হিরোহিতো তার আত্মসমর্পণের ভাষণে এই বোমাগুলোকে অভিহিত করেছিলেন ‘নিষ্ঠুর বোমা’ হিসেবে। নিচে হিরোশিমা ও নাগাসাকির আগের ও পরের চিত্র তুলে ধরা হলো-

হিরোশিমা: আগে ও পরে

১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট, সকাল ৮: ১৫-এ, মার্কিন বি-২৯ বোমারু বিমান এনোলা গে-এর ক্রুরা হিরোশিমার উপর ইতিহাসের প্রথম যুদ্ধকালীন পারমাণবিক বোমা ফেলেছিল। শহরটি ছিল একটি ব্যস্ত আঞ্চলিক কেন্দ্র, যেখানে সামরিক যোগাযোগ, স্টোরেজ এবং সৈন্য সংগ্রহ চলত।

‘লিটল বয়’ নামক বোমাটি আনুমানিক ১৫,০০০ টন টিএনটি সমান বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে শহরের প্রায় পাঁচ বর্গমাইল এলাকা ধ্বংস হয়ে যায় এবং প্রাথমিকভাবে আনুমানিক ৭০,০০০ মানুষ নিহত হয়।

১৯৪৫ সালের শেষ নাগাদ, বিকিরণ ও আঘাতজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা ১,০০,০০০ ছাড়িয়ে যায়। এরপরের বছরগুলোতে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদী বিকিরণ-সম্পর্কিত রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও বহু মানুষ মৃত্যুবরণ করে।

আগে।
পরে।
আগে।
পরে।

নাগাসাকি: আগে ও পরে

হিরোশিমার তিন দিন পর, ৯ আগস্ট, আরেকটি পারমাণবিক বোমা ফেলা হয় নাগাসাকিতে। মূল লক্ষ্য ছিল কোকুরা শহর, কিন্তু আবহাওয়ার কারণে ক্রুরা সেই শহর দেখতে না পেয়ে নাগাসাকিতে বোমাটি ফেলেন।

এই বোমাটির নাম ছিল ‘ফ্যাট ম্যান’- এটি ছিল একটি প্লুটোনিয়াম বোমা যার ওজন ছিল প্রায় ১০,০০০ পাউন্ড এবং বিস্ফোরণ ক্ষমতা ছিল ২২ কিলোটন।

নাগাসাকির প্রায় ৩০ শতাংশ এলাকা ধ্বংস হয় এবং আনুমানিক ৬০,০০০ থেকে ৮০,০০০ মানুষ নিহত হয়। এই মৃত্যুর কারণ ছিল সরাসরি বিস্ফোরণ, তাপ এবং বিকিরণের সংস্পর্শ, এবং পরবর্তী দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যঝুঁকি।

আগে।
পরে।
আগে।
পরে।