স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য আমাদের শরীরের প্রতিটি পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি। এই দুইটি উপাদান হাড় ও দাঁতের গঠন, রক্ত জমাট বাঁধা, পেশির কার্যক্রম এবং স্নায়ুতন্ত্রের কাজ ঠিক রাখার জন্য অপরিহার্য। যেহেতু আমরা খাদ্য থেকে সবসময় পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি পাই না, তাই অনেক সময় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ক্যালসিয়াম-ডি ট্যাবলেট গ্রহণ করতে হয়।
ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেটের উপকারিতা
১. হাড় ও দাঁত শক্তিশালী করে
ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের মূল গঠন উপাদান। আর ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে। তাই ক্যালসিয়াম-ডি ট্যাবলেট হাড়কে মজবুত রাখে ও দাঁতের ক্ষয় রোধ করে।
২. অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে সহায়ক
বয়স্ক নারী ও পুরুষদের হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়ায় অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি থাকে। নিয়মিত ক্যালসিয়াম-ডি গ্রহণ করলে হাড় ক্ষয় রোধ হয় এবং এই রোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
৩. হাড় ভাঙা বা অস্ত্রোপচারের পর দ্রুত জোড়া লাগাতে সাহায্য করে
হাড় ভাঙার পর দ্রুত সুস্থ হতে শরীরে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডির চাহিদা বেড়ে যায়। এই সময় ক্যালসিয়াম-ডি ট্যাবলেট দ্রুত হাড় গঠনে সহায়তা করে।
৪. মাসল ক্র্যাম্প ও দুর্বলতা কমায়
ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডির অভাবে পেশিতে টান, ব্যথা বা দুর্বলতা দেখা দেয়। এই ট্যাবলেট পেশির স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৫. গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের জন্য উপকারী
গর্ভাবস্থায় নারীদের ক্যালসিয়াম চাহিদা বেড়ে যায়। ক্যালসিয়াম-ডি ট্যাবলেট গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর হাড়ের গঠন সঠিক রাখতে সহায়তা করে।
৬. হরমোন ও হৃৎপিণ্ডের কার্যক্রমে সহায়ক
ক্যালসিয়াম হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ এবং বিভিন্ন হরমোন নিঃসরণে ভূমিকা রাখে। এই ট্যাবলেট নিয়মিত গ্রহণ করলে হার্ট ও হরমোনের কার্যকারিতা উন্নত হয়।
সতর্কতা
চা, কফি, আয়রন বা জিঙ্ক ট্যাবলেটের সঙ্গে একসঙ্গে খাবেন না, কারণ এগুলো ক্যালসিয়ামের শোষণে বাধা দিতে পারে।
যদি দিনে ১০০০ মি.গ্রা.-এর বেশি ক্যালসিয়াম দরকার হয়, তা হলে ভাগ করে দিনে দুবার খাওয়া ভালো (যেমন সকাল ও সন্ধ্যা)।
আপনার মতামত লিখুন :