ভালোবাসা জিনিসটা নিঃসন্দেহে অমূল্য। এটি হঠাৎ করে পাওয়া যায় না—পেতে হয় ধৈর্য্য, আন্তরিকতা আর ধারাবাহিক সাধনার মাধ্যমে।
ভালোবাসা অর্জনের এই পথটি সহজ নয়, কিন্তু সঠিকভাবে চর্চা করলে সফলতা অবশ্যম্ভাবী।
নিচে বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো—এই পরামর্শগুলো শুধুমাত্র বিবাহিত ভাইদের জন্য; বাচ্চারা দয়া করে দূরে থাকো।
দিনের শুরু হোক ভালোবাসায়: সকালে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রীর গালে দুটো চুমু দিন নিঃসংকোচে। মনে রাখবেন, ভালোবাসা মনে মনে রেখে দিলেই হবে না; তার স্পষ্ট ও কোমল বহিঃপ্রকাশ প্রয়োজন।
সকালের নাস্তা হয়ে উঠুক ভালোবাসার অঙ্গীকার: স্ত্রী বিছানা ছাড়ার আগেই হালকা নাস্তা (চা, বিস্কুট, ডিম পোচ) তৈরি করে তাকে বিছানাতেই পরিবেশন করুন। ভুলে যাবেন না, ভালোবাসায় ইগোর কোনো জায়গা নেই।
দিনে একবার খোঁজ নিন: অফিসের বিরতিতে একটি ফোন দিন। জিজ্ঞাসা করুন—তিনি খেয়েছেন কিনা, কিছু দরকার আছে কি না। এতে সম্পর্কের বন্ধন আরও দৃঢ় হয়।
বাড়ি ফিরুন ছোট্ট কিছু উপহার নিয়ে: চকলেট, ফুল, বা পছন্দের আইসক্রিম—প্রতিদিন নয়, তবে মাঝেমধ্যে ছোট্ট কিছু নিয়ে ফিরলে ভালোবাসা আরও গভীর হয়।
বিকেলটা দিন দু'জনে ভাগ করে: একসঙ্গে চা পান করুন, গল্প করুন। সম্ভব হলে মাঝে মাঝে কাছাকাছি কোথাও ঘুরে আসুন। আলোচনার বিষয় হতে পারে সংসারের নানা খুঁটিনাটি, কিন্তু পরিবেশ হোক উন্মুক্ত ও নিরিবিলি।
নিজের জন্য সময় রাখুন: নিজের প্রিয় গান শোনা, বই পড়া, বা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো—এই ‘আমি’র সময়টুকু আপনাকে নতুন করে উদ্যমী করে তুলবে।
রাতের খাবারে একসাথে বসুন: পরিবারের সবাইকে নিয়ে হাসিখুশি পরিবেশে রাতের খাবার খান। হালকা মেজাজে থাকুন, গল্প করুন, একে অপরকে সময় দিন।
রাত হোক অন্তরঙ্গতার সময়: বিছানায় যাওয়ার পর একে অপরের সঙ্গে হৃদ্যতাপূর্ণ গল্প করুন, কবিতা বলুন, গান ধরুন—ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশের এটাই শ্রেষ্ঠ সময়।
পরস্পরের প্রতি যত্নবান হোন: ঘনিষ্ঠ হবার আগে জেনে নিন সে কেমন আছে, শরীর ঠিক আছে কি না। তার আবেগ, ইচ্ছা, চাওয়া-পাওয়াগুলোর গুরুত্ব দিন।
আপনার মতামত লিখুন :