বুধবার, ২১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম

আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা: প্রধান আসামি হিটু শেখের ডেথ রেফারেন্স নথি হাইকোর্টে

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম

আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা: প্রধান আসামি হিটু শেখের ডেথ রেফারেন্স নথি হাইকোর্টে

শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যার আসামি হিটু শেখ। ছবি: সংগৃহীত

মাগুরার আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখের ডেথ রেফারেন্সের নথি হাইকোর্টে পৌঁছেছে।

বুধবার (২১ মে) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে গত শনিবার (১৭ মে) শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান। এ ছাড়া মামলার বাকি তিন আসামিকে খালাস দেন আদালত।

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- শিশু আছিয়ার বোনের জামাতা সজীব শেখ, সজীবের ভাই রাতুল শেখ ও তাদের মা এবং হিটু শেখের স্ত্রী রোকেয়া বেগম।

আলোচিত এ মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি, মেডিকেল রিপোর্ট, পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য এবং মামলার মৌখিক ও দালিলিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই সাক্ষ্য ও প্রমাণাদির ভিত্তিতে হিটু শেখের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এবং ২ ধারায় মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত। এর মধ্যদিয়ে অভিযোগ গঠন বা বিচার শুরুর ২১ দিনের মাথায় আলোচিত এ মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয় শিশু আছিয়া। এ ঘটনার পর মাগুরাসহ সারা দেশের মানুষ প্রতিবাদ-বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। পরবর্তীতে গত ৮ মার্চ অভিযুক্ত চারজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন শিশু আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার।

অন্যদিকে ধর্ষণের ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ফরিদপুর মেডিকেল এবং পরে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ মারা যায় শিশু আছিয়া।

এ ঘটনার পর পুলিশের রিমান্ড চলাকালে মামলার মূল আসামি হিটু শেখ ১৫ মার্চ মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। যেখানে এ ঘটনায় তিনি একাই জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দেন।

পরবর্তীতে ১৩ এপ্রিল চাঞ্চল্যকর এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার ওসি (তদন্ত) আলাউদ্দিন সরদার শিশুটির মায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত চার আসামি- আছিয়ার বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, শাশুড়ি জাহেদা বেগম, বোনজামাই সজীব শেখ ও সজীবের বড় ভাই রাতুল শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

পরবর্তীতে ২৩ এপ্রিল চার্জ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ২৭ এপ্রিল বাদীসহ তিনজনের সাক্ষ্য প্রদানের মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে ৭ মে অষ্টম কার্যদিবসের মধ্যে সাক্ষীর পর্ব শেষ হয়। পরদিন ৮ মে আসামিদের ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। অবশেষে ১২ ও ১৩ মে যুক্তিতর্ক শেষে ১৭ মে রায় ঘোষণা করেন আদালত।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!