ঢাকা সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫

শেখ হাসিনার মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ, পরবর্তী শুনানি বুধবার 

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৫, ০৮:৩৮ পিএম
শেখ হাসিনা। ছবি- সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে চলমান মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার (১৮ আগস্ট) ট্রাইব্যুনালে ৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হওয়ার পর বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আগামী বুধবার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন। এর আগে গত চার দিনে ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস এইচ তামিম। এছাড়া অপর প্রসিকিউটররাও শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।

পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। গ্রেপ্তার হওয়া আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল-১ অভিযোগ গঠন করে বিচার কার্যক্রম শুরু করেছেন। একই সঙ্গে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

গত ১৬ জুন ট্রাইব্যুনাল-১ পলাতক আসামিদের হাজির হওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন। এর পর পরবর্তী দুই পত্রিকায় বাংলা ও ইংরেজিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়, যাতে শেখ হাসিনা ও কামালকে সাত দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।

তবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও তারা হাজির না হওয়ায় তাদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী দ্বারা অভিযোগ গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

মামলার প্রেক্ষাপট অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়।

এছাড়া এই মামলার পাশাপাশি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে আরও দুটি মামলা চলছে। একটি মামলায় আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনা অভিযোগে করা হয়েছে। অন্য মামলাটি রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের।

প্রসিকিউশন অভিযোগ করছে যে, ওই সময়ে ছাত্র আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, দলীয় ক্যাডার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে। বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব মামলার বিচার চলছে।