বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ০৫:২৩ পিএম

রামপুরায় কার্নিশে ঝুলে থাকা ছাত্রকে গুলি করার মামলার বিচার শুরু

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ০৫:২৩ পিএম

ছবি- সংগৃহীত।

ছবি- সংগৃহীত।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর রামপুরায় একটি ভবনের কার্নিশে ঝুলে থাকা এক ছাত্রকে গুলি ও একই এলাকায় অন্য দু’জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল-১।

বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এই মামলায় অভিযোগ গঠন করে পলাতক সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আজ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচার শুরু হলো।

ট্র্যাইব্যুনালে এই মামলায় প্রসিকিউসন পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

পলাতক আসামিদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। আর গ্রেপ্তার আসামি সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সারওয়ার জাহান নিপ্পন।

এই মামলায় পলাতক সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ চার আসামি হলেন- ডিএমপির খিলগাঁও জোনের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান ও রামপুরা থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) তরিকুল ইসলাম ভূইয়া।

আর গ্রেপ্তার আসামি হলেন- রামপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) চঞ্চল চন্দ্র সরকার।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই আমির হোসেন জুমার নামাজ পড়ে বাসায় ফিরছিলেন। আমিরের ভাষ্য, বাসার কাছে তখন পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার মধ্যে পড়ে যান তিনি। এসময় পুলিশ গুলি করা শুরু করে। এসময় আমির হোসেন দৌড়ে নির্মাণাধীন একটি ভবনের চারতলায় গিয়ে আশ্রয় নেন। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে পুলিশ ভবনটির চারতলায় উঠে যায়। সেখানে আমির হোসেনকে পেয়ে পুলিশ সদস্যরা তার দিকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে বারবার নিচে লাফ দিতে বলেন। একজন পুলিশ সদস্য তাকে ভয় দেখাতে কয়েকটি গুলিও করেন। এক পর্যায়ে ভয়ে আমির হোসেন লাফ দিয়ে নির্মাণাধীন ভবনটির রড ধরে ঝুলে থাকেন। তখন তৃতীয় তলা থেকে একজন পুলিশ সদস্য আমির হোসেনকে লক্ষ্য করে ছয়টি গুলি করেন। গুলিগুলো আমিরের দুই পায়ে লাগে। এক পর্যায়ে পুলিশ চলে গেলে আমির হোসেন ঝাঁপ দিয়ে কোনোরকমে তৃতীয় তলায় পড়েন। তখন তার দুই পা দিয়ে রক্ত ঝরছিল। প্রায় তিন ঘণ্টা পর একজন শিক্ষার্থী ও দু’জন চিকিৎসক আমির হোসেনকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে তাকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। নির্মম এই ঘটনায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান আমির হোসেন। এছাড়া রামপুরায় ওই একই দিন ঘটনাস্থলের সামনে আরও দু’জনকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ আনা হয় এই মামলায়।

Link copied!