ঢাকা রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

কুষ্টিয়ায় ৬ হত্যা : ইনুর বিরুদ্ধে আজ তৃতীয় দিনের সাক্ষ্য

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৫, ১১:৩৬ এএম
আদালত প্রাঙ্গণে হাসানুল হক ইনু। ছবি - সংগৃহীত

জুলাই–আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে কুষ্টিয়ায় ৬ জন হত্যাসহ ৮টি অভিযোগে দায়ের হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে আজ রোববার তৃতীয় দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্যানেলে এই সাক্ষ্য উপস্থাপন করা হবে।

গত ২ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দিনের জেরা শেষ হয়। সেদিন দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেওয়া বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহাকে জেরা করেন ইনুর আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। এর আগের দিন ১ ডিসেম্বর তিনি সাক্ষ্য দেন। একই দিনে প্রথম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন মো. রাইসুল হক। তিনি মেহেরপুরের বাসিন্দা হলেও আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়া শহরের একটি মেসে থাকতেন।

এর আগে, গত ৩০ নভেম্বর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। একই দিনে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে ইনুর রিভিউ আবেদন শুনানি হয়। তার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন আইনজীবী সিফাত মাহমুদ ও মনসুরুল হক। উভয় পক্ষের বক্তব্য শেষে ট্রাইব্যুনাল আবেদনটি খারিজ করে দেয়। ২ নভেম্বর ইনুর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে আটটি অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয় এবং সেদিন বিচারক তাকে অভিযোগগুলো পড়ে শোনান। 

চলতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর এই মামলায় ইনুকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তার আগের ২৫ সেপ্টেম্বর জুলাই–আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতায় সহযোগিতাসহ আটটি অভিযোগ এনে প্রসিকিউশন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। পরবর্তীকালে শুনানিতে অভিযোগগুলো উপস্থাপন করা হলে আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেন।

গত বছরের ২৬ আগস্ট রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন মামলায় কারাগারে রয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তিনি তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।  

জুলাই–আগস্ট আন্দোলনে কুষ্টিয়া শহরে নিহত হন শ্রমিক আশরাফুল ইসলাম, সুরুজ আলী বাবু, শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মুস্তাকিন, উসামা, ব্যবসায়ী বাবলু ফরাজী ও চাকরিজীবী ইউসুফ শেখ। আহত হয় বহু মানুষ। এসব ঘটনার ওপর ভিত্তি করে ইনুর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়। পরবর্তী তদন্তে উসকানি ও ষড়যন্ত্রসহ আটটি অভিযোগ চূড়ান্ত করে প্রসিকিউশন। মামলার ফরমাল চার্জ ৩৯ পৃষ্ঠার এবং এতে সাক্ষী রাখা হয়েছে ২০ জনকে। পাশাপাশি তিনটি অডিও ও ছয়টি ভিডিও নথি হিসেবে উপস্থাপন করেছে প্রসিকিউশন।