বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম

মিয়ানমারের মতো ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ, ফায়ার সার্ভিসের সতর্কতা জারি

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম

মিয়ানমারের মতো ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ, ফায়ার সার্ভিসের সতর্কতা জারি

ভূগৌলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে ৮ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সংগঠিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে

মিয়ানমারের শুক্রবার শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে থাইল্যান্ড, চীন, ভারতসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৮ দেশ কেঁপে উঠে। ভূমিকম্পে মিয়ানমারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মখীন হয় থাইল্যান্ডও। এখন পর্যন্ত হাজারের বেশি মৃতুর খবর পাওয়া গেছে।

মিয়ানমারের ওই ভূমিকম্প বাংলাদেশেও অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১২ টা ২১ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান কেঁপে উঠেছিল। ফলে ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্কা তৈরি হয়েছে।

মিয়ানমারের মতো বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশও থাকার কথা আগে থেকেই বলে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, ভূগৌলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে ৮ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সংগঠিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এবার বড় মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকির কথা জানিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। এজন্য পূর্বসতর্কতা হিসেবে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

 

শনিবার (২৯ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই সর্তকবার্তা দেয় সরকারি সংস্থাটি।

এতে দেশের কোন কোন এলাকা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ সেটিও উল্লেখ্য করা হয়।

ফায়ার সার্ভিসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং ঢাকা অঞ্চল ভুমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

এ অবস্থায় ভূমিকম্প মোকাবিলার জন্য সব পর্যায়ে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ ও সচেতনতা তৈরির নিমিত্ত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের সতর্কতাগুলো হলো-

ক. বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড–২০২০ অনুযায়ী ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন নির্মাণ করা।

খ. ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো ভবনগুলোর সংস্কার ও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

গ. সকল বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা।

ঘ. ইউটিলিটি সার্ভিস যেমন—গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের লাইনের সঠিকতা নিশ্চিত করা।

ঙ. ভূমিকম্প চলাকালীন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি পর্যায়ে বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত মহড়া অনুশীলন ও প্রচারের ব্যবস্থা করা।

চ. জরুরি টেলিফোন নম্বর যেমন—ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, হাসপাতাল ও অন্যান্য জরুরি নম্বর ব্যক্তিগত পর্যায়ের পাশাপাশি সকল ভবন বা স্থাপনায় সংরক্ষণ এবং তা দৃশ্যমান স্থানে লিখে রাখা।

ছ. ভলানটিয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দুর্যোগকালীন কার্যকর ভূমিকা রাখা।

জ. জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সরঞ্জামাদি যেমন—টর্চলাইট, রেডিও (অতিরিক্ত ব্যাটারিসহ), বাঁশি, হ্যামার, হেলমেট বা কুশন, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী, ফার্স্ট এইড বক্স, শিশু যত্নের সামগ্রী ইত্যাদি বাসা-বাড়িতে নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা যাতে ভূমিকম্প পরবর্তীতে আটকা পড়লে তা ব্যবহার করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা যায়।

ঝ. এবং সকল পর্যায়ে তদারকি সংস্থার কার্যক্রমে সহযোগিতা করা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসব বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভিন্ন কার্যক্রম চালু রেখেছে।

যেকোনো তথ্যের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের নম্বর (০১৭২২৮৫৬৮৬৭), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স হটলাইন নম্বরে (১০২) যোগাযোগ এবং ফায়ার সার্ভিসের ওয়েবসাইট www.fireservice.gov.bd থেকে তথ্য সংগ্রহের আহ্বানও জানানো হয়েছে।
 

আরবি/ফিজ

Link copied!