ঢাকা রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫

স্বাস্থ্য খাতের টেকসই উন্নয়নে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা 

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২৫, ০৮:১৫ পিএম
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি- সংগৃহীত

স্বাস্থ্যখাতকে টেকসই ও মানসম্মতভাবে গড়ে তুলতে সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় সুলভ ও কার্যকর চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে বর্তমান সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে রোববার (২৭ জুলাই) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।  

প্রধান উপদেষ্টা বলেন ‘‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।’ দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য, ‘হেপাটাইটিস: লেটস্ ব্রেক ইট ডাউন’, যা হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্য অর্জনে তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করি।’’

ড. ইউনূস জানান, দেশে লিভার রোগ সম্পর্কে এখনও ব্যাপক অজ্ঞতা, চিকিৎসা গ্রহণে অনীহা এবং নানা ধরনের কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে। এসব কারণে হেপাটাইটিস, লিভার সিরোসিস, ক্যান্সার ও লিভার ফেইলিওরের মতো জটিল রোগে মৃত্যুহার বাড়ছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বাংলাদেশের প্রায় ৪.৪ শতাংশ জনগণ হেপাটাইটিস বি এবং ০.৬ শতাংশ হেপাটাইটিস সি ভাইরাসে আক্রান্ত। যদিও আশার কথা হলো, সময়মতো সঠিক চিকিৎসা ও সচেতনতার মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধযোগ্য।

সরকারের গৃহীত উদ্যোগের কথা তুলে ধরে ইউনূস বলেন, দেশের হাসপাতালগুলোর মানোন্নয়ন, প্রান্তিক জনগণের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার কল্যাণ সেবা নিশ্চিত করতে জোর প্রচেষ্টা চলছে। মোবাইল ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে চিকিৎসাসেবা সহজলভ্য করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে এ কাজে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম, অভিভাবক এবং সচেতন নাগরিকদের সমন্বিত উদ্যোগ অত্যাবশ্যক।

প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘নীরব ঘাতক’ হেপাটাইটিস প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। একই সঙ্গে তিনি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।