২০২৬ সালের হজ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রথম ধাপে দেশের ১৫৫টি এজেন্সিকে শর্তসাপেক্ষে প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। রোববার (২৭ জুলাই) এ তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়।
প্রকাশিত তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, তালিকাভুক্ত কোনো এজেন্সি যদি যৌক্তিক কারণ ছাড়া হজ মৌসুমে হজযাত্রী নিবন্ধন না করে (প্রাক-নিবন্ধন নয়), তবে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাশাপাশি মক্কা-মদিনায় হজযাত্রীদের জন্য যেসব সেবা দেওয়া হবে, তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে হজযাত্রীর সঙ্গে লিখিত চুক্তি করতে হবে।
প্রত্যেক এজেন্সিকে সৌদি সরকারের নির্ধারিত সংখ্যক হজযাত্রী পাঠাতে হবে। এ ছাড়া ৪৬ জন হজযাত্রীর জন্য একজন করে আরবি ভাষায় দক্ষ ও অভিজ্ঞ হজ গাইড নিয়োগ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় আরও জানায়, কোনো এজেন্সি অনিবন্ধিত ব্যক্তিকে হজে পাঠানোর চেষ্টা করলে, তাদের এজেন্সি লাইসেন্স বাতিলসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তালিকা প্রকাশের পর যদি কোনো এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয় বা যোগ্যতার ঘাটতি ধরা পড়ে, তাহলে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই সেই এজেন্সির নাম তালিকা থেকে বাতিল করা হবে।
শর্তানুসারে, তালিকাভুক্ত এজেন্সিগুলোর লাইসেন্সের মেয়াদ আগামী বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নবায়নের সাপেক্ষে বৈধ থাকবে। যেসব এজেন্সির লাইসেন্স মেয়াদ ওই সময়ের মধ্যে শেষ হবে, তাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নবায়নের জন্য আবেদন করতে হবে।
এছাড়া হজ কার্যক্রমের জন্য প্রতিটি এজেন্সিকে হালনাগাদ হজ লাইসেন্স, ট্রাভেল লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স এবং আয়কর সনদ দাখিল করে হজ পরিচালকের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করতে হবে।
চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ২০২৬ সালে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের মে মাসের শেষ সপ্তাহে।
চলতি বছরের মতো আগামী বছরও বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারবেন বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।