ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় জাতিসংঘ খাদ্য সম্মেলনে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, সবার জন্য একটি উন্নত খাদ্য ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সকল অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ। গত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদন, পুষ্টি এবং দারিদ্র্য হ্রাসে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে আমরা এখন চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘মৎস্য, শাকসবজি এবং পশুপালনকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে আমাদের উৎপাদন ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে, আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন জটিল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন, মূল্যের অস্থিরতা, ভূমির অবক্ষয়, পানীয় জলের ঘাটতি এবং ক্রমবর্ধমান বৈষম্য আমাদের খাদ্য ব্যবস্থার জন্য সরাসরি হুমকিস্বরূপ। এছাড়াও, নগরায়ণ, বেকারত্ব এবং অপুষ্টি এখনও আমাদের জন্য উদ্বেগজনক।’
উপদেষ্টা নারীর ক্ষমতায়ন, দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্যের ন্যায়সংগত প্রবেশাধিকার, স্কুল ফিডিং কর্মসূচির মাধ্যমে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করাসহ অপুষ্টি মোকাবিলায় খাদ্য নিরাপত্তার ওপর জোর দেন।
বিশ্বব্যাপী খাদ্য ব্যবস্থাকে টেকসই করার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার অ্যাক্সেস এবং জাতীয় খাদ্য ব্যবস্থা রূপান্তর সমন্বয় করার জন্য বহু-অংশীদারী প্ল্যাটফর্ম তৈরির উপর গুরুত্বারোপ করেন।
জাতিসংঘের খাদ্য ব্যবস্থা (ইউএনএফএসএস+৪) শীর্ষ সম্মেলনে জাতিসংঘের সংস্থা, নাগরিক সমাজ, বেসরকারি খাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাবিদ এবং অন্যান্য অংশীদারদের উপস্থিতিতে খাদ্য উপদেষ্টা বিশ্বকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক, স্বাস্থ্যকর এবং টেকসই খাদ্য ব্যবস্থায় রূপান্তরের দিকে অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানান।