ঢাকা বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫

‘একদিন প্যাকেট থাকবে, ভেতরে বিস্কুট থাকবে না’

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২৫, ১০:৪৩ পিএম
বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি- সংগৃহীত

অতিরিক্ত ভ্যাটকে গরিব শোষণ বলে আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাদের অভিযোগ, সরকার ধনিদের সুবিধা দিলেও রুটি-বিস্কুটের মতো নিত্যদিনের খাবারে কর আরোপ করে বৈষম্যমূলক ও পশ্চাৎপদ নীতি চালু করেছে। সংগঠনটি নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব খাদ্যপণ্য থেকে ভ্যাট পুরোপুরি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।

শনিবার (২৩ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, সরকার বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট, গণমাধ্যমের খবর ও অর্থনীতিবিদদের মতামত উপেক্ষা করে গরিব মানুষের খাবারে ভ্যাট বহাল রেখেছে। এতে রুটি-বিস্কুটের প্যাকেট ছোট করতে হচ্ছে। কিন্তু আর ছোট করা সম্ভব নয়। তিনি সতর্ক করে বলেন, এভাবে ভ্যাট চাপাতে থাকলে একদিন প্যাকেট থাকবে, ভেতরে বিস্কুট থাকবে না।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে রুটি-বিস্কুটে ৫ শতাংশ ভ্যাট ছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তা বাড়িয়ে ৭.৫ শতাংশ করেছে। শফিকুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, আশা করা হয়েছিল নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হবে। কিন্তু সহজে আদায়যোগ্য বলে এই কর বহাল রাখা হয়েছে, যা লজ্জাজনক।

সংগঠনের সহ-সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন মামুন বলেন, বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ এখন রেড জোনে। এ অবস্থায় গরিব মানুষের ওপর চাপিয়ে রাজস্ব আদায় করা পশ্চাৎপদ নীতি ছাড়া কিছু নয়। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার বিস্কুট-রুটি শিল্পকে ব্যবহার করছে গরিব শোষণের হাতিয়ার হিসেবে।

বক্তারা বলেন, রাজস্ব সংগ্রহ করতে হলে শিল্পের চেয়ারম্যান ও ধনি ব্যবসায়ীদের ওপর সরাসরি ট্যাক্স আরোপ করা উচিত। কিন্তু ভ্যাটের কারণে শিল্প ও ভোক্তা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা দাবি করেন, সরকার যদি ভ্যাট প্রত্যাহার না করে তবে দাম বাড়াতে হবে বা প্যাকেট ছোট করতে হবে। এতে শিল্পের ক্ষতি হবে, ভোক্তা বঞ্চিত হবে এবং সরকারের ভাবমূর্তিও সংকটে পড়বে।

সংবাদ সম্মেলনে সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ইন্দ্রজিৎ সরকার, কিষওয়ান ফুড ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আবদুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।