শুধুমাত্র তারিখ ঘোষণার বাকি। ত্রয়োদশ ভোটের অন্য সব আয়োজন চলছে পুরোমাত্রায়। দেশ এখন নির্বাচনের মহাসড়কে। ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজনৈতিক দলগুলো ও তাদের মনোনীত প্রার্থীরা। এতদিন ভোট দিতে না পারার যন্ত্রণায় কাতর সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও আগ্রহ ব্যাপক।
সবার প্রত্যাশা একটি উৎসবমুখর, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আশায় বুক বেঁধেছে দেশের মানুষ। সর্বজনীন ভোটাধিকারে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে এগিয়ে যাবে দেশ। আর হারাবে না পথ। এমন সন্ধিক্ষণেও গণভোট ইস্যুতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রাজনীতিকরা, সন্দিহান একে অপরের প্রতি। প্রকৃত গণতান্ত্রিক রূপান্তরের যাত্রাপথে এ নিয়ে আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তোলা যাচ্ছে না মোটেও।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো সন্তোষজনক মাত্রা পায়নি। রাজনীতিকদের অনৈক্যে জন্ম হচ্ছে নতুন নতুন সঙ্কট। তফসিল ঘোষণার কাউন্টডাউন। অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হতে চায় না কোনোভাবেই। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচন প্রসঙ্গে বারবার নিজের শক্ত অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। যত খেলা আর ষড়যন্ত্রই হোক না কেন নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প দেখছেন না।
তিনি জানান, গণতন্ত্রের মূল ভিত্তিই হচ্ছে প্রত্যেক নাগরিকের ভোটের অধিকার। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র কোনোভাবেই পূর্ণাঙ্গ হতে পারে না। আলোয় আলোয় ঝকঝক জীবনে প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের মাধ্যমে তাই ক্ষমতার প্রকৃত মালিক জনগণের হাতেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর। নির্বাচনকে যিনি মনে করেন একটি ‘টিম ওয়ার্ক’। এই টিম স্পিরিটে সফলতা অর্জনে দেশপ্রেমিক বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তা চেয়েছেন এক সপ্তাহে দু’বার।
তিনি আরও জানান, দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি দেশের জনসাধারণের আস্থা-বিশ্বাস-ভরসা-নির্ভরতা অনুরণিত হয়েছে তার কণ্ঠেও—প্রথমবার বুধবার (১৯ নভেম্বর) মিরপুর সেনানিবাসে ডিএসসিএসসি কোর্স-২০২৫-এর গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে ও দ্বিতীয়বার গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সেনাকুঞ্জে চলতি বছরের সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে।
প্রধান উপদেষ্টা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। একটি নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা ও পেশাদারত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রথম অনুষ্ঠানটিতেও তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা নির্বাচনের অপেক্ষায় আছি। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আবারও আমাদের সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন।’ এই নভেম্বরের প্রথম দিনেই সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সেদিন দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য সাধুবাদ জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেছিলেন, ‘গত ১৫ মাসে সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনীর সদস্যরা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করেছে।’ আসন্ন নির্বাচন যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে, সে জন্যও তিন বাহিনীকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন।
গত ১৯ ও ২১ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানের পরপরই শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সরকারকে ও নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত রোববার (২৩ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসস্থ ‘আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্স’-এ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সেনাবাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত এবং অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্য ও তাঁদের নিকটাত্মীয়দের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান বলেছেন, ‘দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। সামনে দেশ একটা নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে, সেই নির্বাচনে আমরা যথাযথভাবে সরকারকে সহযোগিতা করব। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করব, যেন আমরা সুন্দর একটা নির্বাচন পেতে পারি।’
একদিন পরেই সোমবার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বি/২০২৫ ব্যাচের নবীন নাবিকদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে সার্বিক সহায়তার দৃঢ় অঙ্গীকার করেন। নৌবাহিনী দেশের সব সঙ্কটে সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সঙ্গে সমানভাবে কাজ করছে বলেও উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আগামী নির্বাচন আয়োজনে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে নৌবাহিনী সার্বিক সহায়তা প্রদান করবে ইনশাআল্লাহ।’
দেশের প্রতিটি সঙ্কটে বা দুঃসময়ে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী। সামরিক বাহিনী-ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসেই সমকালীন বিশ্বের বিরল এক গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ী হয়েছে দেশ। এ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন-এর দেশপ্রেম, সাহসিকতা ও নেতৃত্বের দৃঢ়তা ছিল বিশেষ গুরুত্ববহ।
সশস্ত্র বাহিনী-ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব এই ঐক্যই পতিত সরকারের জগদ্দল পাথরের অশুচি কাটিয়েছে। নতুন প্রত্যয়ে নতুন সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যেতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। সামনেও নতুন সৌন্দর্যের আবাহনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ। প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য থেকেও এই বিষয়টি আরও খোলাসা হয়েছে।
বাংলাদেশে যখনই কোনো সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হয়েছে সেখানে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে জাতির ঐক্যের প্রতীক এই সশস্ত্র বাহিনী। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পূর্বশর্ত স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। গত ১৫ মাসে সশস্ত্র বাহিনী দিন-রাত একাকার করে দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নিজেদের অপরিহার্যতা তুলে ধরেছে প্রতিটি ক্ষণে।
সাধারণ রিকশাচালক থেকে শুরু করে কর্পোরেট হাউজের কর্মকর্তা, আমলা, শিক্ষক, আইনজীবী থেকে শুরু করে সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন, একটি ভালো ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান কেবল সশস্ত্র বাহিনীর পূর্ণ সহযোগিতার মাধ্যমেই সম্ভব।
অন্তর্বর্তী সরকারও এই প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করেনি, গভীরভাবে উপলব্ধি করেছে। সেই বিশ্বাস-ভরসা থেকেই সরকার নির্বাচনের পরেও সশস্ত্র বাহিনীকে ম্যাজিষ্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে মাঠে রাখছে। ২০২৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে এই ম্যাজিষ্ট্রেসি ক্ষমতা।
শুধু তাই নয়, বারবার ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ বঞ্চিত মানুষরা বিশ্বাস করেন, সশস্ত্র বাহিনীর এই নির্বাচনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালনে কাঙ্ক্ষিত সফলতা অবশ্যই আসবে। দুই যুগ আগে ২০০১ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আরপিও সংশোধন করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগগুলো বা সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
কেবল জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই নয়, পরবর্তী সময়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইনেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার ওই সংশোধনী অধ্যাদেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞা থেকে প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগগুলোকে বাদ দেয়।
আইনের জালে বন্দি করে সুকৌশলে ম্যাজিষ্ট্রেসি পাওয়ার কেড়ে নেওয়ায় সুচারুভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেনি সশস্ত্র বাহিনী। এর ফলেই পতিত সরকারের তিনটি নির্বাচন ছিল চরম বিতর্কিত ও অগ্রণযোগ্য। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার এবার প্রথমেই নির্বাচনি আইনে সংস্কার করে সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করেছে। ফলে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের মতো ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। কেবল কাউকে আটকই নয়, তাৎক্ষণিক বিচার করে জেলেও পাঠাতে পারবে।
জটিল ও স্পর্শকাতর পরিস্থিতি দ্রুততার সঙ্গে সামলাতে এই ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা তাদের ওপর রাজনৈতিক বা অন্যবিধ চাপ তৈরির সুযোগ দেবে না। নির্বাচনে ভোট কারচুপি ও সহিংসতা প্রতিরোধও সম্ভব হবে। সম্প্রতি এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সেমিনারে প্রধান বক্তার বক্তব্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. রোকন উদ্দিন বলেছেন, ‘অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, ভোট কারচুপি ও সহিংসতায় দলীয় প্রশাসনই মূল ভূমিকা রাখে। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে পূর্ণ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে মাঠে নামানো জরুরি।’
প্রধান উপদেষ্টা বরাবরই দেশের ইতিহাসে ‘সব থেকে সেরা’ অথবা ‘সবচেয়ে সুন্দর’ নির্বাচনের অঙ্গীকার করেছেন। নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো সংশয় নেই। অনিশ্চয়তার কালো মেঘ কেটে গেছে আরও আগেই। এরপরেও যেকোনো আড্ডায়, হাটে-ঘাটে কিংবা দেশ ছাপিয়ে প্রবাসেও নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় এখনো কোনো কোনো পক্ষের পর্দার আড়ালের নোংরা খেলায় মানুষ চিন্তিত ভীষণ।
রাজধানীসহ সারা দেশে খুন-খারাবি, সহিংসতা, উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির পোস্টমর্টেম জানান দিচ্ছে-রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনো আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলা বা অবিশ্বাসের অচলায়তন ভাঙা সম্ভব হয়নি। একধরনের মনস্তাত্ত্বিক লড়াই আর কুতর্ক থেকে তারা সরে আসেননি। দেশে এখনো বিপুল অবৈধ অস্ত্র ছড়িয়ে আছে।
এসব উদ্ধার না হলে নির্বাচনের আগে-পরে সহিংসতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, সাধারণ ভোটারদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়াও সুশাসন নিশ্চিত করা, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নতুন মাত্রা যোগ করতে এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ামকের ভূমিকা পালন করবে নিঃসন্দেহে।
কঠিন এই বাস্তবতায় রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের মধ্যে সহনশীল আচরণ নিশ্চিত ও পারস্পরিক সাংঘর্ষিক সম্পর্ক পরিহার এখন সময়ের সুতীব্র প্রয়োজন। ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব’—মুসলিম মনীষীদের উচ্চারিত এই ঐতিহাসিক বাণীটিও তাদের স্মরণে রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তাঁরা মনে করেন, গণতন্ত্রের সংজ্ঞাই যেখানে একসঙ্গে পথচলা সেটি আক্ষরিকভাবেই নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ দেওয়ার মাধ্যমে গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ভারসাম্যপূর্ণ সমাধান সূত্রকে মেনে নিতেই হবে। নয়তো দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও নাজুক হবে।
দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রের কাফেলায় চলে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে গণতন্ত্র বিকাশ ও সংহতকরণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে মনোযোগী হতে হবে। প্রত্যেককে সহায়তার হাত বাড়াতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে নির্বাচন বানচালে সক্রিয় অপশক্তি-পেশিশক্তির কারসাজিকে। এ লক্ষ্য পূরণেই দৃষ্টি রাখতে হবে সবাইকে। তবেই দেশে টেকসই গণতন্ত্রের সূর্য উঠবে। কুয়াশা সরিয়ে উঁকি দিবে উজ্জ্বল রোদ্দুর। আশা জাগানিয়া সূর্যকিরণ দ্যুতি ছড়াবে। আলোয় আলোয় ভরা দেশে হেসে উঠবে সাধারণ মানুষ। বিজয়ী হবে একাত্তর ও চব্বিশের বাংলাদেশ।
লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক সন্ধানী বার্তা; অ্যাকটিং এডিটর কালের আলো.কম






