জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও জনতা পার্টি বাংলাদেশের মহাসচিব শওকত মাহমুদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার আদালত এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিন্নাত আলী।
এদিন শওকত মাহমুদকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি রমনা বিভাগের পরিদর্শক আখতার মোর্শেদ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
তবে মামলার মূল নথি উপস্থাপন করা না হওয়ায় বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পাশাপাশি রিমান্ড শুনানির জন্য আগামি বৃহস্পতিবার তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।
রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, শওকত মাহমুদ আসামি এনায়েত করিম চৌধুরীর সঙ্গে যোগসাজশে দেশের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতে জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর কাজ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, বর্তমান সরকারকে উৎখাতের উদ্দেশ্যে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। বিভিন্ন স্থানে গণবিক্ষোভের মাধ্যমে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধনে ভূমিকা রেখেছেন বলেও তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শওকত মাহমুদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাঁকে ১০ দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।
এর আগে রোববার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ এলাকা থেকে শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর সূত্র পাওয়া যায় গত সেপ্টেম্বরে গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিমকে কেন্দ্র করে করা মামলায়।
মিন্টো রোড এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করায় তাঁকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং রমনা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়। সেই মামলার ধারাবাহিকতায় শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শওকত মাহমুদ দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন এবং দলটির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০২৩ সালের ২১ মার্চ তাঁকে বিএনপির সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। চলতি বছরের এপ্রিলে প্রতিষ্ঠিত জনতা পার্টি বাংলাদেশে তিনি বর্তমানে মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। দলটির চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।


