রাজধানীর নয়াপল্টন বুধবার বিকেলে রূপ নেয় এক বিশাল জনসমুদ্রে। বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যৌথভাবে আয়োজিত ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ অংশ নিতে রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লাখো নেতাকর্মী ও তরুণ সমর্থকের ঢল নামে।
আয়োজকদের দাবি, ঢাকা, সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ১৫ লাখ তরুণ এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। নয়াপল্টন ও আশপাশের রাজপথ পূর্ণ হয়ে যায় মিছিল ও স্লোগানে। সৃষ্টি হয় এক উন্মাতাল জনস্রোতের দৃশ্য।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই সমাবেশের মূল লক্ষ্য ছিল তরুণদের রাজনৈতিকভাবে উদ্বুদ্ধ করা এবং তাদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন। মে মাসজুড়ে দেশজুড়ে তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে মতবিনিময়ের অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চারটি বিভাগীয় শহর ও রাজধানীসহ মোট আটটি স্থানে সেমিনার ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির নেতারা বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ করা খুবই জরুরি। তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার তরুণদের অধিকার ও ভবিষ্যৎকে হরণ করছে। বক্তারা আগামী দিনে আন্দোলনের অগ্রভাগে তরুণদের থাকার আহ্বান জানান।
নয়াপল্টন এলাকাজুড়ে ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমাবেশস্থলের আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে। যদিও কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি, তবে যানজট ও পথচারীদের ভোগান্তি ছিল চোখে পড়ার মতো।