জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ভিজিএফ কার্ড বিতরণকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।
রোববার (২৫ মে) উপজেলার আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এই সংঘর্ষে ক্ষেতলাল উপজেলা শিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী (২৫) ও আলমপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জুয়েল ফকির (৪৫) আহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত অন্যদের মধ্যে রয়েছেন, রাজু (২৫), মাসুদ (৩৭), ছাব্বির হোসেন (১৮), শিহাব (১৮) ও আবু কাশেম (৪৭)। তাদের দলীয় পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের এক হাজার ৫১২টি বিশেষ ভিজিএফ কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে বিতরণের জন্য বিএনপি, জামায়াত ও ছাত্রনেতাদের কিছু কার্ড দেওয়া হয়। বাকি কার্ড বিতরণের জন্য ইউপি সদস্যদের দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে তারা রোববার সকালে ইউপি কার্যালয় এসে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোছা. হোসনে আরার সঙ্গে কথা বলেন। এ নিয়ে ইউপি কার্যালয়ের বাইরে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
উপজেলা শিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলীকে গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি শামীম হোসাইন বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে ইউপি কার্যালয় থেকে বাইরে আসার পর বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদের ভাইদের আহত করেন।’
উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমান বলেন, ‘একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।’
ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোছা. হোসনে আরা বলেন, ‘ঈদুল আজহার জন্য এক হাজার ৫১২টি বিশেষ ভিজিএফের কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়। তারা স্থানীয় প্রশাসনের পরামর্শে কিছু কার্ড বিএনপি, জামায়াত ও ছাত্রনেতাদের নিয়ে সমন্বয় করেছেন। রোববার জামায়াতের লোকজন ইউপি কার্যালয়ে এসে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সঠিকভাবে কার্ড বিতরণ হয়নি বলে দাবি করেন। তারা বিতরণের জন্য কার্ড দাবি করেন। এরপর ইউপি কার্যালয়ের বাইরে বিএনপি ও জামায়াতের লোকজনের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।’
ক্ষেতলাল থানার ওসি মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন বলেন, ‘আলমপুর ইউনিয়নে ভিজিএফের কার্ড বিতরণ নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি। এ ঘটনায় কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি।’