ঢাকা বুধবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৫

মুসলিম মেয়র মামদানির সাফল্যের পেছনে একজন নারী

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৫, ১০:৪৫ এএম
জোহরান মামদানি ও তার স্ত্রী রামা দুয়াজি। ছবি- সংগৃহীত

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে ইতিহাস গড়েছেন ৩৪ বছর বয়সি প্রগতিশীল ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট জোহরান মামদানি। তিনি শহরের ১১১তম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এই জয়ে নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন। তবে তার এই সাফল্যের পেছন রয়েছেন একজন নারী। যার নাম রামা দুয়াজি।

রামা দুয়াজি হলেন জোহরান মামদানির স্ত্রী। তাকে প্রকাশ্যে কম দেখা গেলেও, পরিকল্পনা থেকে শুরু করে নির্বাচনি প্রচার, ডিজাইন এবং বার্তাও গোপনভাবে তৈরি করেছেন তিনি। রামা দুয়াজির নির্বাচনি কৌশলের কারণে মামদানির মেয়র পদের প্রচারের ভিজ্যুয়াল পরিচয় এবং ডিজিটাল বার্তা শহরের মানুষের কাছে সহজে পৌঁছায়। প্রচারের স্বেচ্ছাসেবকরা তাকে নীরব স্থপতি বলে ডাকেন।

দুয়াজি নিজে মঞ্চে ওঠেননি, সাক্ষাৎকার দেননি ও সামাজিক মাধ্যমে অংশ নেননি। তিনি মনে করেন, রাজনীতি হওয়া উচিত ভাবনা ও কাজের মাধ্যমে, ব্যক্তিত্বের নয়। তার নীরব নির্দেশনা শুধু ডিজাইনেই সীমাবদ্ধ নয়; নীতিগত বার্তা তৈরিতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং মানুষের অনুভূতির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেন। বিশেষ করে হাউজিং এবং কমিউনিটির মতো সংবেদনশীল বিষয়গুলোতে মামদানির বক্তব্য দুয়াজির সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার কারণে উঠে এসেছে।

রামা দুয়াজি সিরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছেন। ছোটবেলায় দুবাইতে কিছু সময় কাটিয়েছেন এবং পরে নিউইয়র্কে স্থায়ী হন। তিনি কমিউনিকেশন ডিজাইন ও ইলাস্ট্রেশনে শিক্ষিত এবং একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী ও সিরামিক শিল্পী। তার কাজ প্রকাশিত হয়েছে দ্য নিউইয়র্কার, দ্য ওয়াশিংটন পোস্টসহ বহু আন্তর্জাতিক মাধ্যমে। তার সিরামিকস কাজ নিউইয়র্ক ও লন্ডনে প্রদর্শিত হয়েছে।

দুজনের পরিচয় হয় ২০২১ সালে হিঞ্জে। ২০২৫ সালের শুরুতে নিউইয়র্কে একটি সাদাসিধা অনুষ্ঠানে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। রামা দুয়াজি সরাসরি রাজনৈতিক মঞ্চে উপস্থিত না হলেও, মামদানির রাজনীতিতে তার ছাপ স্পষ্ট।