সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গ্রিস শাখার আয়োজনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) আহ্বায়ক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আয়োজন করা হয়। এ সময় দলীয় কার্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিতসহ দিনব্যাপী শহীদ রাষ্ট্রপতির রুহের মাগফেরাত কামনায় বিভিন্ন কার্যক্রম পালন করেন প্রবাসে থাকা দলটির নেতা-কর্মীরা।
শোকসভা ,আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি গ্রিস শাখার প্রধান আহ্বায়ক মো. ফারুক মিয়া।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সদস্যসচিব আশরাফ উদ্দিন ঠাকুর টিপু। আলোচনার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন গ্রিস বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক সুফী।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হয়ে ভার্চুয়াল বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার সাংগঠনিক সমন্বয়ক আনোয়ার এইচ খোকন।
তিনি বলেন , ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুধু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা নন, তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক সাহসী, দূরদর্শী ও প্রজ্ঞাবান রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে চিরস্মরণীয়। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর ভূমিকা ছিল অতুলনীয়—তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে সংঘবদ্ধ করেছিলেন।’
প্রধান আহ্বায়ক ও অনুষ্ঠানের সভাপতি বলেন ‘রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পর শহীদ জিয়া দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করেন, মানুষের চিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন।’
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান জাতিকে আত্মনির্ভরশীল হতে শিখিয়েছেন এবং ‘স্বনির্ভর বাংলাদেশ’ গড়ার পথে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রমী। আজ তাঁর এই আদর্শ ও অবদানের কথা স্মরণ করে আমরা শপথ নিই—জাতীয় স্বার্থে, গণতন্ত্রের পক্ষে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
আলোচনা সভায় বক্তারা জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়ার জীবনের নানান দিক তুলে ধরেন। ‘একজন সেনানায়ক থেকে একজন মুক্তিযোদ্ধা, একজন রাষ্ট্রপতি থেকে একজন শহীদ— এটাই শহীদ জিয়াউর রহমানের গল্প।’ এই ধরনের উক্তি ফুটে উঠেছে প্রত্যেক বক্তার কণ্ঠে।
বক্তারা শহীদ জিয়ার রাজনৈতিক আদর্শ, দেশপ্রেম ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনাসহ তার পাশাপাশি তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
অনুষ্ঠান শেষে শহীদ জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত সবার মধ্যে রাতের খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গ্রিস শাখার সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিসের বর্তমান সভাপতি আনোয়ার হোসেন দেওয়ান, গ্রিস বিএনপির সাবেক প্রধান উপদেষ্টা, আহ্বায়ক কমিটির বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিসের সাবেক সভাপতি তাজুল ইসলাম, গ্রিস বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক সুফী, গ্রিস বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা ইকবাল হোসেন।
আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক উপদেষ্টা জালাল উদ্দিন আহমেদ, দোয়েল একাডেমির সভাপতি ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন রনি, গ্রিস বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য সারোয়ার আলম, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ কমিউনিটির নির্বাচন কমিশনার এস আলম নিপু, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা সমিতি সভাপতি শফিক মিয়া, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল মালেক, সাবেক সহসভাপতি এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সাবেক সদস্য রানা।
আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুহিব উদ্দিন, আহ্বায়ক কমিটি ও বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য হাজী ইসলাম, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বোরহান আজহার, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুহিব উদ্দিন, আহ্বায়ক কমিটি ও বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য নুরুল ইসলাম মৃধা, আহ্বায়ক কমিটি সদস্য তোফাজ্জল হোসেন রনি, সিলেট জেলার লাখাই থানার সভাপতি ও গ্রিস বিএনপির সদস্য খাইরুল আলম, গ্রিস বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জাহিদ মোল্লা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বাচ্চু মিয়া, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শামীম যুব নেতা সাইফুল হক মানিক।
আপনার মতামত লিখুন :