সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের মালিকানাধীন ট্রাভেল ও ট্যুরিজম ব্যবসায়ীরা।
এতে করে ভিসা প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে টিকেটিং, হোটেল বুকিং, গাইড সেবা, পরিবহন এবং অফিস ব্যবস্থাপনা—সব ধরনের কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই অবস্থার দ্রুত অবসান না হলে তাদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।
করোনা-পরবর্তী সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশিদের জন্য ট্যুরিজম ভিসা উন্মুক্ত করলে অনেকেই দেশটিতে ঘুরতে যান। এই সুযোগে শত শত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ট্রাভেল এজেন্সি ও সংশ্লিষ্ট সেবা প্রতিষ্ঠান চালু করেন।
তবে গত কয়েক বছর ধরে নানা কারণে বাংলাদেশিদের ভিসা কার্যক্রম সীমিত বা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে আমিরাত সরকার।
ঢাকা ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান হানাফি বলেন, ‘একটা ভিসার ওপর লেখা থাকে ‘জেনারেল ম্যানেজার’, অথচ ওই ব্যক্তি বাস্তবে কাজ করছেন নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে। এসব অনিয়মের কারণে আমিরাত সরকার ভিসা ইস্যুতে কঠোর হয়েছে।’
হলিডে ডেস্টিনেশনের মার্কেটিং ম্যানেজার মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে এখন আর কোনো পর্যটকই আসতে পারছেন না। নতুন করে কোনো লাইসেন্স করা যাচ্ছে না, ভিসাও ইস্যু হচ্ছে না। এর প্রভাব সরাসরি পড়েছে আমাদের ব্যবসায়।’
বিভিন্ন সূত্রমতে, আমিরাতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা গত কয়েক বছরে ৫০০-এর বেশি ট্রাভেল ও ডকুমেন্টেশন কোম্পানি চালু করেছেন। এসব প্রতিষ্ঠান পর্যটন খাতের বিভিন্ন সেবা দিয়ে আসছিল, যার প্রায় সবই বর্তমানে স্থবির।
সিলভার স্মিথ কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ রফিক বলেন, ‘বাংলাদেশি পর্যটক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে আমাদের ট্যুরিজম মার্কেট একরকম ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন আমরা ইউরোপ ও ইন্দো-চায়না অঞ্চলের পর্যটকদের দিকে ঝুঁকছি।’
আপনার মতামত লিখুন :